নতুন ১৯ পুলিশ অফিসার নিয়োগের ঘোষণা দিলেন মেয়র জন বিগস
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ অক্টোবর ২০১৭
টাওয়ার হ্যামলেটসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনের জন্য কাউন্সিলের অর্থায়নে আরো ১৯ অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস। এরা ইতিপূর্বে কাউন্সিলকর্তৃক নিয়োগকৃত ২০ জন পুলিশ অফিসারের সাথে যোগ দিবেন। মেয়র গত জুলাই মাসে সর্বশেষ ১৪ জন নিয়োগ দিয়েছিলেন। আরো ৬ জন আগে থেকেই ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ব্যাপকভাবে পুলিশ বাজেট কাটের কারনে বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির অভিযোগ আসার পর মেয়র জন বিগস এই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের জন ফান্ড বরাদ্দ করেন। মেয়র এ খাতে আগামী ৩ বছরের জন্য প্রায় ৩ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন ১৯ জনের পর বারায় সরাসরি কাউন্সিল ফান্ডেড মোট পুলিশের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৩৯ জন। বারার বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে এই ৩৯ জন কাজ করবেন। বিশেষ করে এসিড এট্যাক, এন্টি সোশাল বিহেভিয়ার এবং ভায়োলেন্ট ক্রাইম দমনের দিকে তারা বিশেষ মনোযোগ দিবেন।
নতুন নিয়োগকৃত ১৯ জনের মধ্যে কয়েকজনকে মেয়র ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। পূর্ব লন্ডনের কলিংউড এস্টেটে আয়োজিত এই পরিচিতি অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আসমা বেগম। এসময় মেয়র বলেন, কমিউনিটি সেইফটি হচ্চেছ আমার অন্যতম এজেন্ডা। বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রন তথা বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি পুলিশ অফিসারদের স্ট্রীটে দেখতে চাই। মেয়র বলেন, সরকার পুলিশের বাজেট কাটকে গ্রহনযোগ্য মনে করলেও আমরা একে গ্রহণ করিনি এবং এজন্য বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেছি। আশা করছি তারা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হবেন। কেবিনেট মেম্বার ফর কমিউনিটি সেইফটি কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও এন্টি সোশাল বিহেভিয়ার বাসিন্দাদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের এই উদ্বেগ দমনে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চিছ।
বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের নতুন পুলিশ অফিসাররা রাস্তাঘাটে সংগঠিত বিভিন্ন ধরনের অপরাধ তথা এন্টি সোশাল বিহেভিয়ার দমনে যাতে ভূমিকা রাখতে পারেন এজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এন্টি সোশ্যাল বিহেভিয়ার দমনে অতিরিক্ত পুলিশ অফিসাররা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসের চীফ এক্সিকিউটিভ সুস্মিতা সেন বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্চিছ। যারা বাসিন্দাদের শান্তি বিঘ্নিত করছেন তাদেরকে সহ্য করা হবে না। এদিকে কমিউনিটি সেইফটি ইস্যুকে বিবেচনায় রাখার জন্য এখন থেকে কাউন্সিল কর্তৃক নিয়োগকৃত পুলিশের ষ্ক্রক্রাইম প্রিভেনশন ডিজাইন এডভাইজারম্ব সকল ডেভেলাপার এবং হাউজিং সংস্থাগুলোকে প্ল্যানিংয়ে সহযোগিতা করবেন। ঘরবাড়ি নির্মাণের আগেই নিরাপত্তার ইস্যুকে মাথায় রাখার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী টাওয়ার হ্যামলেটসে এন্টি সোশাল বিহেভিয়ার একটি বড় ধরনের ইস্যু এবং ২০১৭ সালে পরিচালিত বার্ষিক মতামত জরিপে ৩১শতাংশ বাসিন্দা অপরাধকে তাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসাবে উল্লেখ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি