সিলেট প্রেস ক্লাব নির্বাচন : সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
দেশ ডেস্ক: সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি পদে সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির ও একাত্তর টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ইকবাল মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রাত সোয়া ৮টায় প্রেসক্লাব নির্বাচন কমিশনের প্রধান ই ইউ শহীদুল ইসলাম শাহীন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক জুবের, সহ-সভাপতি এম এ হান্নান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াহইয়া ফজল, ট্রেজারার শাহাব উদ্দিন শিহাব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক নূর আহমদ, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক খালেদ আহমদ, সদস্য-ফয়ছল আলম, শুয়াইবুল ইসলাম ও দিগেন সিংহ নির্বাচিত হন।
এর আগে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্লাব ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত সোয়া ৮টায় এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে ই ইউ শহিদুল ইসলাম শাহীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী ও এডভোকেট মনির আহমদ নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পূর্ণাঙ্গ ফলাফল :
সভাপতি পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি ইকরামুল কবির দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫৭। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইকবাল সিদ্দিকী পেয়েছেন ৫০ ভোট। এছাড়া মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর পেয়েছেন ৪ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন ৪ জন। এর মধ্যে ৫৭ ভোট পেয়ে (১ম) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এনামুল হক জুবের। এবং এম. এ. হান্নান ৫০ ভোট পেয়ে (২য়) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফারুক আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৩৫ ভোট। এছাড়াও কামকামুর রাজ্জাক রুনু পেয়েছেন ২৭ ভোট।
সধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডা-হাড্ডি লাড়াই হয়। ইকবাল মাহমুদ ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মঈনুল হক বুলবুল। তিনি পেয়েছেন ৩৪ ভোট। এছাড়াও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু পেয়েছেন ৩২ এবং খালেদ আহমদ পেয়েছেন ৯ ভোট।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ইয়াহইয়া ফজল ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. আব্দুল আহাদ। তিনি পেয়েছেন ৫৩ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে শাহাব উদ্দিন শিহাব ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আব্দুল বাতিন ফয়সল। তিনি পেয়েছেন ৪৩ ভোট। এছাড়াও ফয়সাল আমীন পেয়েছেন ১৫ ভোট।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নূর আহমদ ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মারুফ আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৫১ ভোট।
পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন খালেদ আহমদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সোয়েব বাসিত। তিনি পেয়েছেন ৪৫ ভোট। এছাড়া আহমদ মারুফ ১৫ এবং সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান ১ ভোট পেয়েছেন।
৩টি সদস্য পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে ৬ জন। তার মধ্যে ৫৮ ভোট পেয়ে সদস্য (১ম) নির্বাচিত হন মো. ফয়ছল আলম, ৫২ ভোট পেয়ে সদস্য (২য়) নির্বাচিত হয়েছেন শুয়াইবুল ইসলাম, এবং ৪৫ ভোট পেয়ে সদস্য (৩য়) নির্বাচিত হয়েছেন দিগেন সিংহ।
এছাড়াও সদস্য পদে সুনীল সিংহ ৪৪, রত্না আহমদ তামান্না ৩০ এবং মো. বদরুর রহমান (বাবর) পেয়েছেন ১৬ ভোট।