অন্ধ হয়ে গেলেন গোলাপগঞ্জের জাহেদ, প্রতিবাদে উত্তাল গোলাপগঞ্জ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:
গোলাপগঞ্জে চোখে চুন মেশানো পানি দেওয়ার কারণে অন্ধ হয়ে গেলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাহেদ। ইতিমধ্যে জাহেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তাররা জাহেদকে ৪দিন চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে রেফার্ড করলে বর্তমানে সেখানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু চোখে দৃষ্টি ফেরাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ডাক্তাররা। বলেছেন- হয়তো জীবনের মতো অন্ধ হয়ে গেছে জাহেদ।
জাহেদের ভাই মো. আল আমিন আহমদ জানান, সিলেটের ডাক্তার জাহেদের চোখে দৃষ্টি ফেরাতে পারেননি। ঢাকায় নেয়ার পর আবার চিকিৎসা শুাং হয়েছে। তবে জাহেদের চোখে দৃষ্টি ফিরে আসার সম্ভাবনা কম বলে ডাক্তাররা মত দিয়েছেন।
এদিকে জাহেদের উপর অমানুষিক নির্যাতন ও চোখে চুন মেশানো পানি দিয়ে দৃষ্টি শক্তি কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা। ইতোমধ্যে জাহেদের উপর নির্যাতনকারী রাইয়ুব আলী ওরফে ছানু মিয়া সহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলার বাঘার বটলতল বাজারে, পরগনা বাজারে ও গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের চৌমুহনীতে প্রতিবাদ সভা করেছে বাঘাবাসী সহ উপজেলার সর্বস্তরের জনতা। পৌর মেয়র রাবেলসহ গুণীজনেরা সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার ধিক্কার জানিয়েছেন। এমন নির্মম ঘটনার জন্য রাইয়ব আলী ছানুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা রস্তমপুরে গ্রামের ইসহাক আলীর পুত্র রায়ুব আলী ওরফে ছানু মিয়া নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে জাহেদ আহমদকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে লোকজনকে জড়ো করে। গ্রামের লোকজন ছানু ও জাহেদকে স্থানীয় বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান পুলিশ ডেকে জাহেদ ও ছানুকে তুলে দেন। পুলিশ জাহেদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং নির্যাতনকারী ছানু মিয়াকে জাহেদের পিতা বাছন মিয়ার দায়ের করা মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।