নিউজিল্যান্ডে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারালেন সিলেটের পারভীন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মার্চ ২০১৯
সিলেট, ১৫ মার্চ: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত একজনের বাড়ি গোলাপগঞ্জে। নিহতের নাম হুসনে আরা পারভীন (৪২)। পারভীনের বাবার বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গাল হাটা গ্রামে। সে মৃত নুরুদ্দিনের মেয়ে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে তাঁর স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ বেঁচে গেলেও তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ঘটনার সময় তিনি মসজিদে জুমার নামাজে যাওয়া স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের খোঁজে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
পারভীনের স্বামী ফরিদ উদ্দিনের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে। ফরিদ উদ্দিন ও হুসনে আরা পারভীন ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় বসবাস করতেন। এ সন্ত্রাসী হামলায় ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
জানা যায়, নিহত পারভীন ও ফরিদের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৯৯৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে চলে যান। সর্বশেষ ২০০৯ সালে তারা বাংলাদেশে এসেছিলেন।
পারভীনের বোন রুশনা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় (শুক্রবার) সেখানে থাকা আত্মীয়স্বজন এ সংবাদ আমাদের দিয়েছেন।
নিহতের ভাগ্নে মাহফুজ চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এলাকায় দুটি মসজিদ রয়েছে। এর একটিতে নারী ও অন্যটিতে পুরুষ মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেন। গত শুক্রবারে ঘটনার প্রায় আধঘণ্টা আগে আমার খালা হুসনে আরা তার প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে মসজিদে যান। সেখানে খালা তার স্বামীকে হুইল চেয়ার করে পুরুষদের মসজিদের ভেতরে রেখে নিজে নারীদের মসজিদে চলে যান। কিছু সময় পর পুরুষদের মসজিদের ভেতরে গুলির শব্দ শুনে পারভীন তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য বের হন। এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। নিউজিল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিহত পারভীনের মরদেহ এখনও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি বলেও জানান তিনি।