ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডি: বিয়ানীবাজারের সুজনের লাশ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট :: লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের আব্দুল হালিম সুজনের লাশ উদ্ধার করেছে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
মর্গে থাকা অজ্ঞাত লাশের ছবি প্রকাশ করে নাম-পরিচয় জানতে সহযোগিতা কামনা করে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত সেই ছবিটি সনাক্ত করে ২৪ মে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় লাশটি সুজনের বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর বড়ভাই আব্দুল আলিম।
নিহত আব্দুল হালিম সুজন উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়উধা মাইজকাপন গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র।
জানা যায়, ইউরোপ যাত্রার স্বপ্নে লিবিয়া হতে ইতালি যাওয়ার পথে গত ১০ মে সকালে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ছিলেন বিয়ানীবাজারের আব্দুল হালিম সুজন (৩৫)। লিবিয়ায় মর্গে থাকা অজ্ঞাত লাশের ছবি প্রকাশ করে নাম-পরিচয় জানতে সহযোগিতা কামনা করে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি প্রকাশ করা হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরে লাশের ছবি দেখে অনেক স্বজন ও পরিচিতরা মরদেহটি সুজনের উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন।
নিহত সুজনের বড়ভাই আব্দুল আলিম জানান, সুজন দেশে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। মা-বাবাহীন পরিবারের চার ভাই ও এক বোনের সংসারের হাল ধরতে ইউরোপে যাবার স্বপ্নে বিভোর ছিলো।
পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার বোয়ালী এলাকার শাহিন আহমদ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার এলাকার পারভেজ আহমদ নামের এক দালালের সাথে ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ বছর পূর্বে ইতালি যাবার জন্য চুক্তি হয়েছিল। দীর্ঘদিন লিবিয়াতে অবস্থান করার পর গত ৯ মে বৃহস্পতিবার সমুদ্র পথে ইতালি যাবার জন্য নৌকায় চড়েন।
নৌকায় ওঠার পূর্বে সুজন বাড়িতে সর্বশেষ যোগাযোগ করেছে বলে জানান সুজনের বড়ভাই আব্দুল আলিম। নৌকাডুবির ঘটনা জানার পর থেকে আমার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে দুঃসংবাদের শঙ্কা কাজ করছিল।
তিনি আরো জানান, ফেসবুকে সুজনের ছবি সনাক্ত করার পর লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছেন। সুজনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে সকালে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া সমুদ্র উপকূলে শতাধিক অভিবাসী বহন করা নৌকাটি ডুবে গেলে প্রায় ৬০ জন নিহত হন।