মহসিন আলীর লাশ মৌলভীবাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসিন আলীর মরদেহ তাঁর নিজ শহর মৌলভীবাজারে পৌছেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হেলিকপ্টারে করে তাঁর মরদেহ সেখানে পৌঁছায়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী ও মৌলভীবাজার প্রশাসনের কর্মকর্তারা। দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মন্ত্রীর মরদেহ মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে মন্ত্রীর লাশ দাফন করা হবে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সকালে মিন্টো রোডের বাসা থেকে মন্ত্রীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হলে একে একে দেশের বিশিষ্টজনরা শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান-প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন নেতার্কীরা। এছাড়া সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁর প্রতি। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। এদিকে সৈয়দ মহসিন আলীর স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, তার মৃত্যুতে সিলেটের রাজনীতিতে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। এই শুন্যতা পূরণ হবার নয়। তিনি বলেন, মহসিন আলী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আনুগত্য করে গেছেন। জাসদের মাইনুদ্দিন খান বাদল বলেন, মহসিন আলীর সঙ্গে শেষ দেখা সিঙ্গাপুরে। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভাই আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান, আমি হজে যাব। তার সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি জেলায় অবদান রেখে গেছেন। তিনি সকল মানুষের নেতা ছিলেন।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মারা যান মহসিন আলী। ৬৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নিউমোনিয়া ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।