ঘরোয়া ক্রিকেটের শক্তি দেখাবে অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের নয়া যুগের শুরু হচ্ছে বলে মনে করেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান রডনি মার্শ। আর সাবেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ব্র্যাড হ্যাডিন মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের শক্তি বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ এটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য সোমবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় অনভিজ্ঞ। মূলত, অ্যাশেজ সিরিজের পর প্রায় একসঙ্গে একঝাঁক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অবসর নিয়েছেন। এই কাতারে রয়েছেন, মাইকেল ক্লার্ক, ক্রিস রজার্স, ব্র্যাড হ্যাডিন, শেন ওয়াটসন ও রায়ান হ্যারিস। আর ইনজুরির কারণে দলে নেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া টানা ক্রিকেটের মধ্যে থাকায় এ সফরে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে মিচেল জনসন ও জস হ্যাজেলউডকে। এতে তারুণ্যনির্ভর দল ঘোষণা করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডকে। আর এই তরুণ দলই বাংলাদেশ বাজিমাত করবে বলে আশা সদ্য বিদায়ী ব্র্যাড হ্যাডিনের। এতে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের শক্তি বিশ্ব দেখতে পাবে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘অ্যান্ড্রু ফেকেটে ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সঙ্গে আমি কখনও খেলিনি। তাদের মতো তরুণরা এখন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য। এছাড়া আরও কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় দলে সুযোগ পেয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া ঘরোয়া ক্রিকেটের শক্তি বিশ্বকে দেখানোর সুযোগ এসেছে।’ অন্যদিকে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে অস্ট্রেলিয়া নতুন যুগ শুরু করেত যাচ্ছে বলে মনে করেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান রডনি মার্শ। তিনি বলেন, ‘ভাল দল সব সময় ভাল করে। দেশে জেতে, দেশের বাইরেও জেতে। আবার প্রমাণ করতে হবে, আমরা ভাল দল। আর এটা প্রমাণ করতে হলে জিততে হবে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ক্রিকেটের নতুন যুগ। যে যুগের শুরুতেই দেশ এবং দেশের বাইরে সমান সাফল্য চায় অস্ট্রেলিয়া। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সিরিজ জিতে ফেরে অজি দল। কিন্তু এরপর পাকিস্তানের কাছে বাজেভাবে সিরিজ হারে। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জিতলো। কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ফের আগের জায়গায় চলে এলো। জয়ের ধারা ব্যাহত এখন অস্ট্রেলিয়ার। এই নয়া দল নিয়ে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবার বিপক্ষে জিততে চায় অস্ট্রেলিয়া।’