ছেলের সামনে মাকে লাঞ্ছনা: প্রতিবাদের বিক্ষোভে গুলিতে নিহত ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছে। ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে আরও ২৫ জন। ছেলের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশের গুলিতে নিহতরা হলেন, কালিহাতী পৌর এলাকার কুষ্টিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন (৩৫), ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের আলহাজ মিয়ার ছেলে কবির (৩৫) ও ঘাটাইল উপজেলার সলেঙ্গা গ্রামের রবি দাশের ছেলে শ্যামল দাস (২৮)। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ২ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সাতুটিয়ায় এলাকায় ছেলের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় আটক হাফিজ ও রুমার ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবার বিকালে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ করতে থাকে এলাকাবাসী। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন কালিহাতী থানার দিকে রওনা দিলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় জনতা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে থানা অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল এবং কমপক্ষে শতাধিক রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ২৫ জন। আহতদের মধ্যে কবির ও ফারুক ও শ্যামল দাস সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায়।