বাংলাদেশীরা দেখবেনা পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আর মাত্র আট দিন বাকি। এরপর পৃথিবী স্বাক্ষী হতে চলেছে বিরল এক সুপার মুন বা পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ। এ সময় চাঁদ স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় ১৪ শতাংশ বড় ও ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে। এদিন পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে তিন লক্ষ ৫৭ হাজার কিলোমিটার। গত ৩২ বছরে পৃথিবীর এতো কাছে আসেনি চাঁদ। কমপক্ষে এক ঘন্টা ১২ মিনিট স্থায়ী হবে সুপার মুন।
সুপারমুন হচ্ছে কক্ষপথে পৃথিবীর থেকে চাঁদের খুব কাছাকাছি অবস্থানে সংঘটিত পূর্ণিমা। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় পৃথিবীর থেকে কক্ষপথে চাঁদের নিকটতম অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি এবং দূরতম অবস্থানকে বলা হয় অ্যাপজী ।
প্রতি ১৪টি চান্দ্র মাস সম্পন্ন হওয়ার পর একটি সুপারমুন ঘটে থাকে। অর্থাৎ একটি সুপারমুন সংঘটিত হওয়ার পরে ১৫তম পূর্ণিমাটি হচ্ছে সুপারমুন।
একুশ শতকের মধ্যে ২৫ নভেম্বর, ২০৩৪ এবং ৬ ডিসেম্বর, ২০৫২ সালে চাঁদ পৃথিবীর বেশি নিকটে থাকবে। এর আগে ১৯৩০ সালের ১৪ জানুয়ারি চাঁদ সবচে কাছে এসেছিলো, এরকম আবার ঘটবে ২২৫৭ সালের ১ জানুয়ারি। প্রতি ১৪টি চান্দ্র মাস সম্পন্ন হওয়ার পর একটি সুপারমুন ঘটে থাকে। অর্থাৎ একটি সুপারমুন সংঘটিত হওয়ার পরে ১৫তম পূর্ণিমাটি হচ্ছে সুপারমুন। সময়ের হিসেবে এটি ১ বছর ১মাস ১৮ দিন। এছাড়া আগামী বছরের সুপারমুনের তারিখ হচ্ছে ১৪ নভেম্বর, ২০১৬।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাসী দেখবে পেরিজি মুন অথ্যাৎ ওই দিনে পৃথিবী থেকে চাঁদ খুব নিকটেই অবস্থান করবে।
তবে বাংলাদেশের মুন লাভারদের জন্য আক্ষেপ রয়েই গেলো। ২৮ সেপ্টেম্বরের সুপারমুন বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ ঘটবে। ঐদিন বাংলাদেশ মান সময় ভোর ছয়টা ১০ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে চাঁদ উপচ্ছায়ায় প্রবেশ করে বেলা ১১টা ২৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে উপচ্ছায়া হতে বের হয়ে আসবে। সকাল সাতটা ছয় মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে চাঁদ প্রচ্ছায়ায় প্রবেশ করে সকাল ১০টা ২৭ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে প্রচ্ছায়া হতে বের হয়ে আসবে।’
তিনি আরো বলেন,‘সকাল আটটা ১০ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হয়ে সকাল নয়টা ২৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে শেষ হবে। চন্দ্রের সর্বোচ্চ গ্রহণ সকাল আটটা ৪৭ মিনিট ছয় সেকেন্ডে ঘটবে। গ্রহণের মাত্রা হবে ১ দশমিক ২৮২। ঐদিন বাংলাদেশে সকাল পাঁচটা ৩০ মিনিট হতে সকাল ছয়টার মধ্যে গ্রহণ শেষ হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে চন্দ্র গ্রহণ দেখা যাবে না।”
গত একশ বছরে পৃথিবীর খুব কাছ থেকে বিশ্ববাসী সুপারমুন দেখার সুযোগ পেয়েছে মাত্র পাঁচবার। ১৯১০, ১৯২৮, ১৯৪৬, ১৯৬৪ আর শেষ সুপারমুন দেখা গেছে ১৯৮২ সালে।
ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব প্যাসিফিক আফ্রিকা কয়েকটি জায়গা থেকে উপভোগ করা যাবে ঐশ্বরিক এই সুপার মুন।