ফুলগাজীতে গণধর্ষণের পর বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০১৫
ফেনীর ফুলগাজীতে এক যুবতীকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। ধর্ষণের শিকার ওই যুবতী ফেনী সদর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার মনতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যুবতীর ফুলগাজী উপজেলার মনতলা গ্রামের রিক্সা চালক আবদুল মান্নানের মেয়ে। ভুক্তভুগীর মা লিপি আক্তার জানান, বুধবার রাতে তার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে তিনজন দুর্বুত্ত ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তারা জোরপূর্বক মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এসময় দৃর্বৃত্তরা ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা তার মেয়েকে উদ্ধার করে রাতে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটিকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সময় মেয়ের বাবা ফুলগাজী বাজারে রিক্সা চালাচ্ছিলেন আর তিনি (মা) পাশবর্তী নানীর বাড়িতে ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্থ মেয়ের বাবা আবদুল মান্নান জানান, মেয়েটি বিয়ের পর স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার দীর্ঘদিন ধরে তার ঘরে থাকছিলো। বিগত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় বখাটে হুমায়ুন, বেলাল ও রুবেল তার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে উপ্তক্ত করে আসছিলো। বুধবার তার মেয়েকে গণধর্ষনের পর দুর্বৃত্তরা মধ্যরাতে তাকে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি না জানাতে চাপ দেয়। পুলিশ জানালে তারা তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করে ঘর জ্বালিয়ে দিবে বলেও হুমকি দেয়। তিনি রাতেই পুলিশকে বিষয়টি জানালে ফুলগাজী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা আসামীদের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত হুমায়ুন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
ফেনী সদর হাসাপতালের তত্বাবধায়ক চিকিৎসক সরওয়ার জাহান জানান, মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি জানা গেছে। শারিরীক পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে গণধর্ষণ না শুধ ধর্ষণ তা নিশ্চিত করা যাবে। ফেনীর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার শামছুল আলম সরকার জানান, গণধর্ষনের ঘটনাটি তার জানা ছিলো না। তিনি সাংবাদিকের মাধ্যমে জানার পর ফুলগাজী থানার পরিদর্শককে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আসামীদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন।