লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ অক্টোবর ২০১৫
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে একদিনের যাত্রা বিরতিতে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯ টায় টায় বৃটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছলে সেখানে তাকে স্বাগত জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী, লন্ডনন্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার আব্দুল হান্নান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোন্দকার তালহা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও সিনিয়র সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী সেন্ট্রাল লন্ডনের অজিভাত ক্লেরিজ হোটেলে পৌঁছলে সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিষ্টার নাদিম কাদির, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আজিজ, উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি শামসুদ্দিন খান মাষ্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, মারুফ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক লালা মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছাদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মিয়া আখতার হোসেন ছানু, ছাত্রলীগ সভাপতি তামিম আহমদ, সাধারণ সজিব ভূইয়াসহ আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ। এছাড়া হোটেলের সামনে রাস্তায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার ও ফেষ্টুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানায়।
এদিকে, যুক্তরাজ্য বিএনপি শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের প্রতিবাদে হোটেলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগনের ঘাড়ে চেপে বসে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রকে হত্যা করে তিনি দেশে বাকশালের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তাই তাকে আমরা বৃটেনের মাটিতে স্বাগত জানাতে পারি না। আজ শুক্রবারও শেখ হাসিনার হোটেল স্যুটের সামনে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত যুক্তরাজ্য বিএনপি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিষ্টার নাদিম কাদির মানবজমিনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একদিনের যাত্রা বিরতিতে লন্ডন এসেছেন। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাবার পথে লন্ডনে যাত্রা বিরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বৃটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. আবদুল হান্নান বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রায় তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ’ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ‘পলিসি লিডারশিপ’ ক্যাটাগতিতে প্রধানমন্ত্রীকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক অ্যাচিম স্টেইনার প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছ থেকে ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’ গ্রহণ করেছেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য নৈশভোজ অনুষ্ঠানে আইটিইউ মহাসচিব হুলিন ঝাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।