‘ওরা যে কারণ দেখিয়েছে তা অবাক হওয়ার মতো’
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০১৫
বিশেষ প্রতিনিধি শামছুন নাহার জলি,
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মেঘাটিলা পানপুঞ্জির লুচি রংদী (১১) নামক এক গারো শিক্ষার্থী নিখোঁজের ২ মাস অতিবাহিত হলেও কোন খোঁজ মেলেনি। থানা পুলিশ ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে অভিযোগ দিলেও কিশোরী উদ্ধারের ব্যাপারে কোন সুখবর নেই।
গারো কিশোরী পরিবার জানায়, মেঘাটিলা পানপুঞ্জির গারো সম্প্রদায়ের লুচি রংদী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কারিতাস আলোঘরের শিক্ষার্থী। গত ২৪শে জুলাই সে আলোঘর স্কুলে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়। জন্ম সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১১ বছর। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২৫শে জুলাই কুলাউড়া থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ
ডায়রি (নং ১১২৯) করা হয়।
ডায়রিতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভিসামনি গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়াকে আসামি উল্লেখ করা হয়।
কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়রির পাশাপাশি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছেও একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গত ৬ই আগস্ট ও ২১শে সেপ্টেম্বর পৃথক নোটিশ দিলেও আসামি পক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি।
কুলাউড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা ইয়াসমিন জানান, একাধিক নোটিশ দেয়ার পর আসামি পক্ষ হাজির না হওয়ায় লিগ্যাল এইড মৌলভীবাজারের অধীনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রেরণ করি। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল আলম জানান, কিশোরী নিখোঁজের বিষয়ে সারা দেশে ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। সন্ধান পেলেই জানানো হবে।