জামায়াতকে ‘সন্দেহ’ করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০১৫
বাংলাদেশে সম্প্রতি দুই বিদেশিকে হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) নয়, বরং জামায়াতে ইসলামীর ‘বিদ্রোহীরা’ জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারি তাভেল্লা ও রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশির হত্যায় আইএসের জড়িত থাকার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভারতের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘সামনে জামায়াতের আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়তেই বিদেশীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আইএসের উপস্থিতি প্রমাণ করাটাও একটা উদ্দেশ্য।’
ওই ভারতীয় গোয়েন্দার দাবি, ‘জামায়াত নিজেদের জঙ্গিদের দিয়ে এসব কাজ করিয়ে তার দায় আইএসের ওপর চাপানোর চেষ্টা করতে পারে। এর মধ্যে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে এবং হাসিনা সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অকার্যকর- তা প্রমাণ করার চেষ্টা হতে পারে।’
ভারত সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে। এখন জামায়াত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে চরমপন্থীদের সম্পৃক্ত করছে, যেন এটি আইএসের কাজ বলে প্রতীয়মান হয়। এটি তাৎক্ষণিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জামায়াতের পরবর্তী পরিকল্পনা হতে পারে—শেখ হাসিনার সরকারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হিসেবে দেখানো।
নাম প্রকাশ না করে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, একমাত্র যে ব্যাখ্যাটি পাওয়া যায় তা হলো, জামায়াত সংশ্লিষ্টতা। দলটি নিজ ভূমিতে বিদেশি হত্যার মাধ্যমে হাসিনা সরকারকে আঘাত করছে। এর কারণ হতে পারে হাসিনা সরকারকে পেছনে ফেলা। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতার লক্ষ্যে দলটি কয়েক বছর ধরে নিজেদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।