কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১৫
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০১৫
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বাঁধন ও শামীম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কম পক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। শামীম গ্রুপের লোকজন পৌর ভবন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, বুধবার কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ বাঁধনকে ভিপি পদে মনোনয়ন দেবার পর কলেজের সাবেক জিএস ও ভিপি প্রার্থী মোঃ শামীম দাড়িয়ার গ্রুপ ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনে ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা চালায়।
এ সময় বাঁধন গ্রুপ বাধা দিতে গেলে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উপজেলা সদর থেকে ফিরে যাবার সময় শামীম গ্রুপ পৌর ভবনের উপর হামলা চালায়।
ছাত্রলীগের এই সংঘর্ষে কম পক্ষে ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আহত কাইউম হাওলাদার (৩২), আক্কাস মোল্লা (৫০), রিয়াজুল ইসলাম (৩৫), কালাম মীর (৪৫), পলাশ হাজরা (৩০), মতিয়ার রহমান (২৬) ও শুভ (১৮) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একাংশের হটকারী সিন্ধান্তের কারনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারা ছাত্রলীগকে প্যানেল তৈরি করতে দেয়নি। যদি ছাত্রলীগ প্যানেল তৈরি করতো তাহলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির অভিযোগটি সত্য নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সিন্ধান্ত নিয়ে একটি প্যানেল জমা দেয়া হয়েছে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনার পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে একটি জরুরী সভা বসে। সেখান থেকে তানভীর আহম্মেদ বাঁধনকে ভিপি, রেজোয়ান মুন্সীকে জিএস ও পরিমল বালাকে এজিএস করে একটি প্যানেল ঘোষণা করা হয় এবং এই প্যানেলটিই কলেজে জমা দেয়া হয়।