এবার খাদ্য অধিদপ্তরে নিয়োগে জালিয়াতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০১৫
আলোচিত ব্রাজিলের গম কেলেংকারীর পর এবার খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগে দুর্নীতি জালিয়াতির অভিযোগে খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালকসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক বাদি হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল হক বিডি টুয়েন্টি ফোর লাইভকে জানান,চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার সময় আসামিরা কম্পিউটার সফটওয়ার পরিবর্তন করে ফলাফলে যে সকল প্রার্থী তাদের সাথে যোগা যোগকরেছে তারা কম নম্বর পেলেও টাকার বিনিময়ে তাদেরকে অধিক নম্বর প্রাপ্তী দেখিয়ে পরিক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়েছে। এভাবে তারা পারস্পরিক যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক মেধাবী ও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করে।
দুদক সূত্রে জানাজায়,জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থী দের অনেকের পরীক্ষার খাতায় (ওএমআর সীট) প্রাপ্ত নম্বর থেকে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল শিটে বেশি নাম্বার দেয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশকেই পরীক্ষায় ২০ বা ৩০ নম্বর পেলেও জালিয়াতি করে ৯০ বা ৯৫ নম্বর দেয়া হয়েছে। আবার কেউ ৮ নম্বর পেলেও তাকে ৯০ নম্বর দেয়া হয়েছে। এভাবেই গত বছরের ৫ মে ওই সব পরীক্ষার্থীসহ মোট ৩২৮ জনকে খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়।
আসামিরা হলেন ,খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) ইলাহী দাদ খান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকেয়া খাতুন , বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও সাবেক খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমা বেগম, চুক্তিবদ্ধ আইটি সার্ভিস প্রভাইডার প্রতিষ্ঠান ডেভলপমেন্ট প্ল্যানার্স অ্যান্ড কনসালটেন্টস ম্যানেজার মোঃ আইউব আলী, টেকনিক্যাল ম্যানেজার আসাদুর রহমান, এসিসটেন্ট ডাটাবেজ এডমিন মো. আবুল কাসেম,সাবেক হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফ হোসেন,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইফতেখার আহমেদ এবং ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী ।
অন্য আসামিরা হলেন,ঢাকা খাদ্য অধিদফতরের হিসাব ও অর্থ বিভাগে সংযুক্তিতে থাকা মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের আসমা ইসলাম, কিশোরগঞ্জ এলএসডি’র উম্মে হানি, ঢাকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতরে সংযুক্তিতে থাকা শরীয়তপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের আশীষ কুমার রায় সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের মো. জহিরুল ইসলাম, সিলেট সদরের আবু জাকির মোহাম্মদ রিজওয়ানুর রহমান।
এছাড়া অন্যরা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারীর আসমা রহমান, সিলেটের বিয়ানীবাজারের জাহানারা জলি, শেরপুরের নয়াবিলি টিপিসি’র অলিউর রহমান, তেজগাঁও সিএসডিতে সংযুক্তিতে থাকা জামালপুর সদরের সানজিদা সুলতানা, রংপুরের মিঠাপুকুরের মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম ভুঞা, নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. রায়হান কবির, রংপুর এলএসডি’র শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরার দেবহাটার বিল্লাল হোসেন, বাগেরহাটের মংলার মো.আবুল কাশেম (চাকরি হলেও যোগদান করেননি), পটুয়াখালীর ইসরাত জাহান মনা, আবুল হাশেম, বরগুনার আরিফা সুলতানা এবং নীলফামারী জলঢাকার জেসমিন আক্তার,।