সরকারের গদি কেউ রক্ষা করতে পারবে না: সাকি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০১৫
ঢাকা: এ সরকার যদি সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তখন সরকারের গদি কেউ রক্ষা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা আয়োজিত সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল কয়লা ভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ১৬ থেকে ১৮ অক্টোবর ঢাকা-সুন্দরবন রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জুনায়েদ সাকী বলেন, সরকার যখন শুধু নিজের গদি নিয়ে ভাবে তখনই কেবল জনগণ ও দেশের স্বার্থবিরোধী পরিবেশ ধ্বংসকারী এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে সরকার জনগণের মাঝে পরিবেশ ধ্বংসকারী ও জানমালের লুন্ঠনকারী হিসেবে চিহ্নিত হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, আপনি এক হাতে সুন্দরবনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন অন্য হাতে চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরষ্কার গ্রহণ করবেন আমরা তা মেনে নিতে পারি না।
আনু মোহাম্মদ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণার ওপর দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকারের সুন্দরবন ধ্বংসকারী এ প্রকল্প। যে সুন্দরবন বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে সে সুন্দরবন ধ্বংস করলে এ দেশ অরক্ষিত হয়ে পরবে। উন্নয়ন নয়, এটি একটি ধ্বংস প্রকল্প।
তিনি বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী মুখে বলেন পরিবেশ ধ্বংসকারী কোন প্রকল্প আমরা এ দেশে বাস্তবায়ন করবো না তিনিই সুন্দরবন ধ্বংস করা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আবার জাতিকে সে প্রকল্প সম্পর্কে জাতিকে ভুল তথ্যও দিচ্ছেন।
এ প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে এ সরকার এমন মন্তব্য করে প্রকল্পটি বাতিলের জোর দাবি জানান এই অর্থনীতিবিদ।
রোডমার্চে সংহতি প্রকাশ করে কলামিষ্ট ও পরিবেশবাদি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, যদি হারিকেন জ্বালিয়ে থাকতে হয় তাতেও রাজি আছি কিন্তু সুন্দরবনকে ধ্বংস করার বিদ্যুৎ আমরা চাই না।কারণ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প থাকলেও সুন্দরবনের কোন বিকল্প নাই। দেশের স্বার্থ জনগণকে উপেক্ষা করে কিছু স্বার্থান্বেসীর পক্ষে সরকারের এ প্রকল্প কেউ মেনে নেবে না।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জ্বালানী বিশেষজ্ঞ বি ডি রহমুল্লাহ, বাসদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ইয়াসীন মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন, বিপ্লবী গণতান্ত্র্রিক পার্টির আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সুন্দরবন অভিমুখে শুরু হয় এ রোডমার্চ।