রাজধানীতে চালকের সাজা, বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০১৫
ঢাকা: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাস ভাড়া বেশি নেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালকের সাজা ও জরিমানা করায় যাত্রীবাহি বাস বন্ধ করেছে পরিবহন মালিকরা। এতে নগরীর হাজার হাজার যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অফিস ফেরা মানুষ উপায় না দেখে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আগারগাঁও বাস টার্মিনালে বেশ কয়েকজন যাত্রী প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো বাসে উঠতে পারছেন না। কারণ হিসেবে দেখা গেছে রাস্তায় যাত্রীবাহি বাসের সংখ্যা কম, আর যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। মানুষের ভিড়ের কারণে লোকজন কোনো বাসেই চড়তে পারছে না।
খবর নিয়ে জানা যায়, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও নকল লাইসেন্সের বিরুদ্ধে অভিযানকালে রাজধানীর তালতলা এলাকায় হিমাচল পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসের চালককে জেল-জরিমানা করায় যানচলাচল বন্ধ করেছেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। এতে ওই এলাকার যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজধানীর তালতলা এলাকায় হিমাচল পরিবহণের যাত্রীবাহী একটি বাসের চালককে জরিমানা ও ১ মাসের কারাদণ্ড দেন। এ ঘটনার পর পরিবহণ সংশ্লিষ্ট লোকজন ওই এলাকায় জড়ো হন। পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়কে অবরোধ থাকায় ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার গণমাধ্যমকে মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যেসব গাড়ি ডিপোতে যাচ্ছে সেখান থেকে সেগুলো আর ফিরছে না। তারা বন্ধ করে রাখছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে যাওয়া গাড়িগুলো না ফেরায় সড়কে বাসের সংখ্যা কমে গেছে। এ ছাড়া অনেক জায়গায় গাড়িতে যাত্রী না ওঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
তালতলা ছাড়াও গুলিস্তানসহ অন্যান্য কয়েকটি এলাকায়ও গাড়ি বন্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।