বছরে ২০ লাখ কর্মী শ্রম বাজারে প্রবেশ করে
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৫
ঢাকা: ২০ লাখ তরুণ প্রতি বছরে বাংলাদেশে শ্রম বাজারে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের ‘টুওয়ার্ডস নিউ সোর্সেস অব কমপিটিটিভনেস ইন বাংলাদেশ’শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ব ব্যাংক বলছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ করেছে। বিশেষ করে, ২০০৯ সাল থেকে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। বর্তমানে পোশাক খাতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাতে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইসব তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিশেষ করে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা হবে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোর সাথে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কিন্তু সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় কম। বিশ্বব্যাংক
মনে করে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ভূমি ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রানীতি প্রণয়নের পাশাপাশি সব দেশের জন্য বিনিয়োগের সমান সুযোগ দিতে হবে।
প্রতিবেদনে চারটি পিলারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো- নতুন মার্কেটে যাওয়া, নতুন পণ্য উপযোগিতা সৃষ্টি করা, শ্রমিক ও ভোক্তার কল্যাণে কাজ করা, মুদ্রা ও সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন করা।