প্রতারক স্ত্রী!
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৫
স্বামী আছেন। অথচ হোটেল রুমে একা চেলসি। হোটেল কক্ষ থেকে নিজেই নিজের রগরগে ছবি তুলে তা পাঠাচ্ছেন স্বামীর কাছে। সেই ছবি দেখে স্বামী বেচারার চোখ চড়কগাছ। তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, হোটেল কক্ষে তার স্ত্রী একা। তার সন্দেহ স্ত্রী চেলসির সঙ্গে কোন পুরুষ আছে। এমন সন্দেহের কারণও আছে। চেলসি যে কক্ষে প্রায় বিবস্ত্র হয়ে ছবি তুলেছেন সেখানে রয়েছে পুরুষদের একজোতা বুট। তাছাড়া চেলসি যেসব ছবি তুলেছেন তাতে কোন কোনটিতে তার দু’হাত উপরে তোলা দেখা যাচ্ছে। তবে কি অন্য কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে গোপন প্রেমে মত্ত। তা নাহলে কে তুলল ওই ছবি। এমনই অসংখ্য প্রশ্ন ওই স্বামী বেচারার মনে। তাই তিনি স্ত্রীকে এসএমএস পাঠিয়ে দিলেন হোটেল কক্ষে তোমার সঙ্গে কে? তার এ প্রশ্নে বিরক্ত চেলসি। তিনি জবাব দিলেন তুমি এসব কি নিয়ে কথা বলছ? আমিই তো আমার ক্যামেরা সেট করে নিয়েছি। স্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর স্বামীর পাল্টা ম্যাসেজ মিথ্যা কথা বলা বন্ধ কর চেলসি! আমি জানি ওই হোটেল কক্ষে তুমি একা নও।
হ্যাঁ, আমি একা! কসম খেয়ে বলছি, তুমি জান যে আমি কখনো প্রতারণা করতে পারি না।
তাহলে বলো, কেন দ্বিতীয় ছবিতে পুরুষের পায়ের বুট। আমি এ নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আমি একজন আইনজীবির সঙ্গে কথা বলব।
দ্য চিভ ওয়েবসাইটে এক দম্পতির গোপন এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ওই নারীর পরিচয় দেয়া হয়েছে শুধু চেলসি। তার স্বামীর নাম প্রকাশ করা হয় নি। এতে চেলসির রগরগে ওইসব ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেন্সর বলতে শুধু তার চোখ দুটি ঢেকে দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ স্বামীই তার স্ত্রীর খোলামেলা ছবি নিজের কাছে রাখতে পছন্দ করেন। এতে তারা থ্রিল অনুভব করেন। আর স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপ- তাও তাদের পছন্দ। কিন্তু তার মধ্যে যদি অন্য কোন পুরুষের উপস্থিতি ধরা পড়ে তাহলে সম্পর্কে চিড় ধরার সমুহ আশঙ্কা থাকে। তার মধ্যে স্বামীকে লেখা একটি ছবিতে চেলসি লিখেছেন, ‘হোটেল রুম! শিগগিরই ঘুমাতে যাচ্ছি।’ এ নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয় নি। জটিলতা দেখা দিয়েছে দ্বিতীয় ছবিতে। সেই ছবিতেই ধরা পড়েছে পুরুষের একজোড়া বুট। তা রাখা টিভি ক্যাবিনেটের নিচে। আরেকটি ছবি পাঠিয়ে তাতে তিনি লিখেছেন, বিছানায় যাওয়ার আগে আরও একটি ছবি। এসব নিয়েই তাদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। তার ইতি ঘটেছে কিনা তা এখনও জানা যায় নি।