কিশোরগঞ্জে শরীফুল আলমসহ বিএনপির ৭৮ নেতাকর্মী কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০১৫
কিশোরগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শরীফুল আলমসহ ৭৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচীতে নাশকতার অভিযোগে কুলিয়ারচর, ভৈরব, করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়ের করা ১০টি মামলায় বুধবার সংশ্লিষ্ট আদালতসমূহে আত্মসমর্পণ করে তারা জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতে শুনানি শেষে তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এ সময় আদালত এলাকায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বিভিন্ন সময়ে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গাড়ি পোড়ানো, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ, সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ট্রেনে অগ্নি সংযোগ, রেল পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ইত্যাদি অভিযোগে কুলিয়ারচরে চারটি, ভৈরবে তিনটি, কিশোরগঞ্জ সদরে দুইটি এবং করিমগঞ্জে দায়ের করা একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী ছিল। এই ১০টি মামলার মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া ৮টি মামলায় জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শরীফুল আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন, কুলিয়ারচর উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজহার উদ্দিন লিটন, ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ছয়সূতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন মোরশেদ বাবুল, রামদি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু মিয়া, কুলিয়ারচর পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন বাবুল, সদর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লাসহ ৭৭ নেতাকর্মী বুধবার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম শুনানি শেষে সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং বাকিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ৮টি মামলার মধ্যে মো. শরীফুল আলম সর্বোচ্চ ৫টি মামলার আসামি। এর আগে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে মো. শরীফুল আলম নাশকতার দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহমান দু’টি মামলাতেই শরীফুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া দু’টি মামলার মধ্যে একটি মামলায় তিনি তিনজনের জামিন মঞ্জুর এবং অপর মামলায় আটজনের জামিন না মঞ্জুর করেন।