অধ্যাদেশ জারি না হলে নির্দলীয় পৌর নির্বাচন: সিইসি
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০১৫
পৌরসভা আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করতে বিলম্ব হলে বর্তমান পদ্ধতিতে নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হবে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভার নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন করতে হলে কয়েক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। তা না হলে আগের মতোই নির্বাচন করতে হবে।
রবিবার আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলনকক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি। মৃত ভোটার কর্তন, অবৈধ ভোটার ঠেকানো এবং স্মার্ট কার্ড প্রদানের বিষয়ে এই বৈঠক করা হয়।
সিইসি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সঠিক সময়ে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে দলীয়ভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি হিসেবে আমরা কিছু কাজ এগিয়ে রেখেছি। কারণ, আমরা জেনেছি সরকার পৌরসভা আইনটি সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করবে। কয়েক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশ হলে অসুবিধা হবে না। তাড়াতাড়ি করে যেন নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণ বিধিমালা তৈরি করা যায় সে প্রস্তুতি আছে। দেরি হলে বিদ্যমান আইন মেনে নির্দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। নির্বাচিত পৌরসভার প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের আগের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। সেজন্যই আমরা তাড়াতাড়ি করছি। অধ্যাদেশ না হলে তো প্রসিডিউর আছেই। অধ্যাদেশ হলে তিনটি মেজর চেঞ্জ করতে হবে।
কাজী রকিব বলেন, ‘স্মার্টকার্ড তৈরির মেশিন চলে এসেছে। নয় কোটি ভোটারের কার্ড তৈরি করতে সময় লাগবে। তবে কিছু কার্ড তৈরি হলে আমরা স্বল্প পরিসরে কার্ড বিতরণ শুরু করব। তবে কবে থেকে দেয়া যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পর্যাক্রমে ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও স্মার্টকার্ড দেয়ার কথা ভাবছি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভা সব ধরনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীক ও পরিচয়ে করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। হাতে সময় কম থাকায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনটি সংশোধনের জন্য অধ্যাদেশ জারি এবং বাকি আইনগুলোর জন্য সংসদে বিল তোলার সিদ্ধান্ত হয়।