ছাত্রলীগের ৭০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে লন্ডনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে ২০১৭
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরবের ৭০ বছরে পদার্পনের প্রাক্কালে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রথম প্রস্তুতি সভা গত ২৪ এপ্রিল সোমবার পূর্ব লন্ডনের স্টিফোর্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সর্ব ইউরোপিয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা আমির হাসান চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব কয়েস চৌধুরী, মোহাম্মদ মনির হোসেইন, ইমানুজ্জামান চৌধুরী মহী, কৃষিবিদ নাজিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রাফিক উল্লাহ, সৈয়দ তাজির উদ্দিন মান্নান, আহমেদ হাসান, মুজিবুর রহমান জসিম, ব্যারিস্টার ইমরান আহমদ, শাহ শামীম আহমেদ, আসম মিসবাহ, সারব আলী, কাওসার আহমদ চৌধুরী, আব্দুস শহিদ চৌধুরী, সায়েদ আহমদ সাদ, আমিনুল হক জিলু, বাবুল খান, সিজিল মিয়া, মল্লিক শাকুর ওয়াদুদ, এম এ ফয়সল, সিজিল মিয়া, নানু মোহাম্মদ শেখ, আনাম উদ্দিন, ইকবাল বাল্মিকি, দিলওয়ার হোসেন, নুরে আলম রতন, জলিল চৌধুরী, খসরুজ্জামান খসরু, কবির খান, রাসেল আহমেদ, ইকবাল হোসেন, সুলতান মাহমুদ, একেএম আব্দুল্লাহ, আশিকুল ইসলাম আশিক, সৈয়দ তারেক আহমেদ, আসাদ উদ্দিন, জালাল উদ্দিন করিম, সাহেল আহমেদ তপাদার, মাহমুদ আলী, স্বপন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাসুম আহমেদ, এমএ হোসেন রানা ও এমএ সালাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার রূপকল্প ২১ এবং ৪১-এর মর্মকথা ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথাগুলো তুলে ধরাই হলো যুক্তরাজ্যস্থ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনীর মূখ্য উদ্দেশ্য। কেননা, বর্তমান প্রজন্ম- বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও ছাত্রলীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য ভাল করে উপলব্ধি করতে পারে না বলেই তারা বিভ্রান্তিতে ভোগে। তারা আদর্শিক রাজনীতি থেকে আজ দূরে সরে যাচ্ছে। সুতরাং জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প অনুধাবন করতে হলে জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি চর্চা ও প্রয়োগ আজ খুবই প্রয়োজন। জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির চর্চা ও প্রয়োগের অভাবেই আজ ভাইপ্রীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় গঠিত একটি জাতীয় ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু তাই বলতেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস। ছাত্রলীগ কোন আঞ্চলিক সংগঠন নয়। সুতরাং আজ যারা ছাত্রলীগের পুনর্মিলনীর নামে একটি বিভাগের মধ্যে আবদ্ধ রাখতে চান, তারা মূলত সংগঠনের মূল চেতনার বিরুদ্ধেই কাজ করছেন। বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, যারা এখনও আঞ্চলিকতা আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুক্তরাজ্যস্থ নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী ২০১৭ এই ব্যানারের ছায়াতলে সমবেত হয়ে একটি বিশাল ও স্বার্থক পুনর্মিলনী করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। যারা বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কিংবা প্রভাব বিস্তার করে জাতীয়ভিত্তিক পুনর্মিলনীকে বাঁধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা করছেন তা পরিহার করারও আহ্বান জানান এবং তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে প্রত্যাশা করেন। বক্তারা আরো বলেন আমরা বিভেদ নয়; ঐক্যে বিশ্বাস করি। এছাড়া আমরা সবাই মুজিবাদর্শের সৈনিক এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় শেখ হাসিনার পাশে থেকে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করতে চাই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি