প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের স্বার্থবিরোধী কোন আইন করতে পারেন না —হাইকমিশনে বিশিষ্টজনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আইনমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০১৭
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিছুল হক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থবিরোধী কোন আইন করতে পারেন না। সে সূত্র ধরে নাগরিকত্ব আইন প্রবাসীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার কিছুই নেই। তিনি গত ১৪ মে রোববার লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন অভ্যর্থনা কক্ষে প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৫-এর উপর এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যরকম, তিনি জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন এবং তিনি সাধারণ জনগনের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জেল থেকে ছাড়া পাবার পর লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে প্রথম এসেছিলেন। এমন কোন আইন করবো না, যা আপনাদের ক্ষতি হয়।
মন্ত্রী সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার কারও সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে ২০০৫ সালে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ণ করে। আমরা আজ সবার সাথে আলোচনা করে এটাকে কার্যকারী রূপ দিতে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন কোনোভাবেই প্রবাসীদের স্বার্থ খর্ব করবে না, শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্রের কিছু চাকরিজীবী ছাড়া। বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই এই আইন প্রয়োজন। আমরা যে ভিত্তি স্থাপন করলাম, তা ভবিষ্যতে বড় কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করার প্রয়োজন হবে না। এ আইন সকল বাংলাদেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমঅধিকার দিচ্ছে। এ আইনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্পত্তির অধিকার কোনোভাবেই ক্ষুন্ন হবে না।
লন্ডন সফররত আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতির উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৫-এর উপর মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, এ আইনের অপব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে সস্তা রাজনীতির জন্য। তিনি বলেন, এ আইনটি আমরা সবার সাথে আলোচনা করে সংসদে উপস্থাপন করবো। মতবিনিম সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি দীপু মনি এমপি বলেন, প্রবাসীদের ভোটার আইডি কার্ডের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন। হাইকমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন বলেন, খুবই ভাল একটি আইনকে নিয়ে ভুল প্রচার করা হচ্ছে। আজ আমরা সবাই উপস্থিত হয়েছি, এ সকল ভ্রান্তি দূর করার জন্য। আমি এ আইনটির বিষয়ে আপনারা যে সকল আপত্তি তুলেছিলেন, তা সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি। যার ধারাবাহিকতায় আইন মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি আপনাদের সকল প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক। এছাড়াও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, আইনজীবী ও স্থানীয় ব্রিটিশ-বাংলাদেশী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ অন্যান্য অতিথিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। -হাইকমিশন থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি