জন বিগসের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ এনে শিরিয়া খাতুনের পদত্যাগ : ‘তুমি থাকলে থাকো অন্যথায় বের হয়ে যাও’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০১৭
লন্ডন, ২৬ মে: টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগসের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ এনে ডেপুটি মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন লেবার কাউন্সিলার শিরিয়া খাতুন। তিনি মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, মেয়র জন বিগস তাঁকে বলেছেন, তোমাকে কমিউনিটি সেইফটি থেকে সরিয়ে এনভায়রনমেন্টে দেয়া হচ্ছে। তুমি থাকলে থাক, অন্যথায় বের হয়ে যাও। এভাবে তাঁতে অপমান করা হয়েছে। সর্বশেষ তাঁকে কমিউনিটি কমিশনের পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়। এটি সত্যিই অপমানজনক। এর মাধ্যমে শুধু তাঁকে অপমান করা হয়নি। তিনি মনে করেন, সমস্ত কমিউনিটিকে অপমান করা হয়েছে। শিরিয়া খাতুনের পদত্যাগের ঘোষণার পর গত ২১ মে রোববার টাওয়ার হ্যামলেটস এগেইনস্ট হেইট ক্রাইম এন্ড রেইসিজম এক প্রতিবাদ সভা করে। সভায় বাঙালিদের অধিকার রক্ষা ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে বুধবার রাতে কাউন্সিলের এজিএমে নির্বাহী মেয়র জন বিগস তার নতুন কেবিনেট ঘোষণা করেন। এতে বেশ কয়েকটি পদে পরিবর্তন আনা হয়। কেবিনেটে নতুন করে যোগ দিয়েছেন কাউন্সিলার আব্দুল মুকিত চুনু এমবিই এবং কাউন্সিলার আমিনা আলী। এর ফলে কেবিনেটের ১০ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৫ থেকে কমে ৩ এ দাঁড়িয়েছে। গত ১২ বছর যাবত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের লেবার পার্টির হয়ে কাউন্সিলারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত শিরিয়া খাতুন। গত দুই বছর ধরে তিনি নির্বাহী মেয়র জন বিগসের কেবিনেট ও ডেপুটি মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন। শিরিয়া খাতুন দাবি করেন, বাধ্য হয়ে তাঁকে কেবিনেট থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এমন এক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, যার কারণে পদত্যাগ ছাড়া তাঁর বিকল্প ছিল না। তিনি মনে করেন তাঁকে বুলিং করা হয়েছে। তাঁকে কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট থেকে সরিয়ে এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন জন বিগস। কিন্তু তিনি নেননি। কারণ তিনি মনে করেন তাঁকে ডিমোশন দেয়া হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়েই পদত্যাগ করতে হয়েছে। কাউন্সিলার শিরিয়া খাতুন বলেন, জনবিগস ৩০ বছর আগে কাউন্সিলার ছিলেন। এখনকার কাউন্সিল সেই আগের মত নয়। এখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি ভিন্ন। মেয়র ৩০ বছর আগের আচরণ করছেন যা তিনি করতে পারেন না। এজন্যই তিনি প্রতিবাদ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মেয়র জন বিগস মিডিয়াকে বলেন, শিরিয়া খাতুন নিজ থেকেই কেবিনেটে থাকার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তাই তাঁকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি যতদিন কেবিনেটে ছিলেন খুব ভাল সার্ভিস দিয়েছেন।