লন্ডনে মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা : মুসলিম কমিউনিটিতে আতঙ্ক, এক বাংলাদেশী নিহত, আহত ১০ : স্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০১৭
দেশ ডেস্ক: নর্থ লন্ডনের ফিন্সবারি পার্ক মসজিদের বাইরে মুসলিমদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের প্রতি সহমর্মিতা, সৌহার্দ্য দেখিয়ে পুষপ অর্পণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রোববার দিবাগত রাতে ওই মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করার পর একদল মুসল্লির ওপর বিশাল আকারের একটি সাদা ভ্যান উঠিয়ে দেয় ড্যারেন অসবর্ন (৪৭) নামে এক সন্ত্রাসী। সে তিন সন্তানের জনক। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লন্ডন পুলিশ এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যায়িত করেছে। হামলায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি মাকরাম আলী ইরন (৫২)। বাংলাদেশে তার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলেছে, ঘটনার পর সোমবার রাতে কয়েক শত মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নিহত মাকরাম আলীর প্রতি ও আহতদের উদ্দেশ্যে। পবিত্র রমজান মাসের শেষের দিকে ফিন্সবারি পার্ক এলাকায় ইফতারের পর মুসলিমদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়টিকেই হামলার জন্য বেছে নেয় সন্ত্রাসী ড্যারেন অসবর্ন। তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এমনিতেই উপর্যুপরি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ইসলামোফবিক হামলার আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছিলেন বৃটিশ মুসলিমেরা।
এবার ফিন্সবারি পার্কে মুসল্লিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে চরম আতংক দেখা দিয়েছে। রাস্তায় চলাচলে, শপিং করতে সর্বোপরি মসজিদে যাতায়াতে মুসলমানদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত থাকতে হচ্ছে। ঘরে বাইরে চারদিকেই আতঙ্ক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, মুসল্লিদের ওপর ভ্যান উঠিয়ে দেয়ার কারণে একজন নিহত হন। আহত হন ৮ থেকে ১০ জন। এরপরই ভ্যান থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায় দু’জন। কিন্তু পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে ড্যারেন অসবর্ন। এ সময় স্থানীয় মসজিদের ইমাম তাকে প্রহার না করতে জনগণকে অনুরোধ করেন। তখন ড্যারেন অসবর্ন চিৎকার করে বলতে থাকে- আমি সব মুসলিমকে হত্যা করতে চাই। এখন তার বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা ও হত্যার উদ্দেশে হামলার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে। তারা তদন্ত করে দেখছে সে সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিয়ে অথবা উৎসাহিত হয়ে এমন কাজ করেছে কিনা। তাকে গ্রেপ্তার করে সরিয়ে নেয়ার পর পরই লোকজন ফুল হাতে ছুটে যায় সেখানে। তাদের কারো হাতে ব্যানারে লেখা ছিল ‘আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ’। আবার কারে কাছে লেখা ছিল ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি’। একপর্যায়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিকের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধর্মের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ফিন্সবারি পার্ক মসজিদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কোজবার। সবার এমন সাড়াকে মহত উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ফিন্সবুরি পার্ক হামলাকে তিনি ওয়েস্টমিনস্টার, ম্যানচেস্টার ও লন্ডন ব্রিজ হামলার মতোই সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন।
মোহাম্মদ কোজবার বলেন, ফিন্সবারিতে আমরা আমাদের পরিবার, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের মর্যাদার ওপর এক ভয়াবহ হামলা অবলোকন করলাম। ৬ সন্তানের পিতা মাকরাম আলীকে হত্যা করা হয়েছে ঠাণ্ডা মাথায়। সন্ত্রাসী এ হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে। এসব মানুষ, এসব সন্ত্রাসীর একটিই উদ্দেশ্য- তাহলো তারা আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়। ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে চায়। ছড়িয়ে দিতে চায় আতঙ্ক। ফিন্সবারি পার্ক এলাকায় আমরা সবাই মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করছি। সন্ত্রাসীরা আমাদের সেই সৌহার্দ্যকে বিভক্ত করতে চায়। কিন্তু আমাদের কথা- আমরা এমনটা হতে দেবো না। শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্য ধর্মীয় নেতারাও। উপস্থিত ছিলেন স্টিফনি’র বিশপ রেভারেন্ড আদ্রিয়ান নিউম্যান। তিনি বলেছেন, একটি ধর্মে বিশ্বাসীদের ওপর হামলা মানে আমাদের সবার ওপর হামলা। রাবি হারশেল গ্লাক বলেন, এই ঘটনা বৃটেনে সব মুসলিমের ওপর হামলা। এতে তারা আহত হয়েছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর একটি একক হামলা মানে হলো গ্রেট বৃটেনের প্রতিটি নাগরিকের ওপর হামলা। কারণ, আমরা সবাই মিলে এক জাতি। আমরা একসঙ্গে বসবাস করি। একসঙ্গে কাজ করি। দেশ গড়তে একে অন্যকে সহযোগিতা করি। ওদিকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলেছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যারা পবিত্র রমজান পালন করছেন তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হবে।
টাওয়ার হ্যামলেটসে বিশেষ নিরাপত্তা : ফিন্সবারী পার্ক মসজিদের মুসল্লিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস। তিনি বলেন, নির্দোষ মুসল্লিদের উপর এধরনের হামলা নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত। এক বিশেষ বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের এই নগর আরো বেশকটি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। আর যারা এই হামলার পিছনে রয়েছে তাদের একটাই উদ্দেশ্য আমাদেরকে বিভক্ত করা। কিন্তু তারা এই কাজে কখনোই সফল হবে না। কারন প্রতিটি হামলার পরই আমাদের কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। মেয়র বলেন, সন্দেহ নেই ফিন্সবারী পার্ক মসজিদের ঘটনার পর আমাদের অনেকের মনেই নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। আর এজন্য আমি আমার কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারকে নিয়ে পুলিশের বারা কমান্ডারের সাথে টাওয়ার হ্যামলেটসের নিরাপত্তা ইস্যুতে সোমবার সকালে এক বিশেষ বৈঠকে অংশ নেই। বৈঠকে বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে, বিশেষ করে মসজিদের আশেপাশে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর সিন্ধান্তের কথা বারা কমান্ডার আমাদেরকে অবহিত করেন এবং আমরা একে স্বাগত জানাই। কেবিনেট মে“ার ফর কমিউনিটি সেইফটি কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, ফিন্সবারী পার্ক মসজিদের ঘটনার পরপরই অর্থাৎ সোমবার সকালে কাউন্সিলের উদ্যোগে বারার পুলিশ প্রধান এবং ধর্মীয় ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে জরুরী বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে টাওয়ার হ্যামলেটসে এধরনের হামলা এড়াতে সর্বোচ্চচ সতর্কতা নেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়। বৈঠকে মসজিদের আশে পাশে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়টিকে আমরা সবাই স্বাগত জানাই এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে মসজিদ এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে একসাথে কাজ করে যাবার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
বিশ্বনাথে ইরনের বাড়িতে শোকের মাতম :
সিলেট প্রতিনিধি: নর্থ লন্ডনের ফিন্সবারী পার্কে মসজিদের কাছে মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি মকরম আলী ইরনের (৬২) গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথের সরুয়ালায় চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জন হারানো পরিবার-পরিজনের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ২০ জুন মঙ্গলবার ইরনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতর থেকে কয়েকজন মহিলার কান্নার আওয়াজ। ইরনের বড় ভাইয়ের ছেলে জিয়াদ আহমদ জানালেন, ভেতরে নিহত ইরনের দুই বোন কান্নাকাটি করছেন। কথা বলতে গিয়ে তিনিও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ইরনের দু’বোন সিতারা বেগম ও তেরাবান বিবি জানান, আমরা তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। আমাদের বড় দুই ভাই অনেক আগেই মারা গেছেন। যার কারণে, ভাই বলতে ইরনই ছিল সকলের আদরের। লন্ডনে সোমবার তাঁর নিহত হওয়ার খবর শুনে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই। পারিবারিক সূত্র জানায়, বারো বছর আগে বিশ্বনাথ উপজেলার সরুয়ালা গ্রামের মৃত আবদুল গণির পুত্র মকরম আলী ইরন লন্ডনে পাড়ি জমান। দুই ছেলে ও চার কন্যাসন্তানের জনক ইরন দীর্ঘদিন ধরে স্বপরিবারে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন। গ্রামে তার বড় দুই ভাইয়ের একান্নবর্তী পরিবারের বসবাস। ২০১৫ সালের আগস্টে তিনি সর্বশেষ দেশে যান এবং এই রমজানের পূর্বে বাড়ির স্বজনের সঙ্গে ফোনে সর্বশেষ কথা হয় তার।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের সম্মুখে সলিডারিটি সমাবেশ : ফিন্সবারী পার্ক মসজিদের সম্মুখে মুসল্লিদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র, স্থানীয় এমপিসহ, মুসলিম নন-মুসলিম কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। ১৯ জুন সোমবার বিকেলে ইস্ট লন্ডন মসজিদের উদ্যোগে লন্ডন মুসলিম সেন্টারের প্রধান ফটকের সম্মুখে আয়োজিত এক তাৎক্ষনিক সলিডারিটি (সংহতি) সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এটি অবশ্যই একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। সুতরাং অন্যান্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা যেভাবে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, পুলিশ এই ঘটনাকেও সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বক্তারা বলেন, এটা শুধু মুসলমানদের উপর নয়, আমাদের সকলের উপর সন্ত্রাসী হামলা। আমাদেরকে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের দমনে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের ফান্ডিং কাটের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সরকার পুলিশের ফান্ডিং কেটে নিচ্ছে। জরুরী সেবাখাতে এভাবে বাজেট কাটলে এই সিটি নিরাপদ থাকবে কীভাবে। ইস্ট লন্ডন মসজিদের নির্বাহী পরিচালক দেলওয়ার খান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস, বেথনাল গ্রীন এণ্ড বো’র সংসদ সদস্য রুশানারা আলী, টাওয়ার হ্যামলেটস পুলিশের বারা কামান্ডার স্যু উইলিয়াম, ইস্ট লন্ডন মসজিদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ইউনাইটেড ইস্ট এন্ড নেতা গ্লীন রভিন্স, সিটিজেন্স ইউকের নির্বাহী পরিচালক নেইল জেমসন ও স্ট্যান্ড আপ টু রেইসিজম নেত্রী শিলা ম্যাকগ্রাগর। মেয়র জন বিগস বলেন, এটা মুসলিম কমিউনিটির উপর আক্রমন নয়, আমাদের সকলের উপর আক্রমণ। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে আমাদেরকে একই ছাতার নিচে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, এটি অবশ্যই সন্ত্রাসী হামলা। ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। তিনি বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের মসজিদগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় ইতোমধ্যে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বারাবাসীর নিরাপত্তা বিধানে তিনি পুলিশের সাথে সর্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশী ব্যক্তির প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। রুশানারা আলী এমপি কনজার্ভেটিভ সরকারের ফান্ডিংকাটের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে যাতে পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরী সার্ভিসগুলো বন্ধ না হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বর্তমান এই নাজুক পরিস্থিতিতে সরকার যেখানে পুলিশ খাতে বেশি বরাদ্দ দিবে, সেখানে তারা বাজেট আরো কাটছে। এটি দেশের জন্য অশনি সংকেত। তিনি ইডিএলসহ চরম ডানপন্থী বর্ণবাদী গ্রুপকে দমন করতে সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। টাওয়ার হ্যামলেটস বারা কামান্ডার স্যু উইলিয়াম বলেন, তিনি ইতোমধ্যে টাওয়ার হ্যামলেটসের মসজিদগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন। তাঁর কাজ হচ্ছে বারাকে নিরাপদ রাখা। ঘটনার পরপর টেনশন মনিটরিং সভা করেছেন। অতিরিক্ত পেট্রোল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইস্ট লন্ডন মসজিদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান তাঁর বক্তব্যে মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর বিবিসিসহ বেশকিছু মিডিয়ার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, ইতোপুর্বে সংঘটিত অন্যান্য সন্ত্রাসী ঘটনাগুলো যেভাবে ঘটেছে একই কায়দায় ঘটেছে ফিন্সবারীর পার্ক এলাকার ঘটনা। বৃটিশ মিডিয়া আগের দুটো ঘটনাকে তাৎক্ষনিকভাবে সন্ত্রাসী ঘটনা বলে অভিহিত করলেও মুসলিমদের উপর হামলার ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করে। অথচ এটি ছিলো সম্পুর্ণ পরিকল্পিত একটি ঘটনা। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সমাবেশের শেষ দিকে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া করেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতীব শায়খ আব্দুল কাইয়ূম।