মৌলভীবাজারে অপহৃত শিশুর লাশ উদ্ধার হলো চাচার ঘর থেকেই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০১৭
সংবাদদাতা: মৌলভীবাজারে সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে অপহরণের ৪ দিন পর চাচাতো ভাইয়ের ঘরের মাটির নিচ থেকে শিশু কামরানের (৬) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ মহিলাসহ ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে কামরানের মা শিল্পী বেগম (২৫) বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শিশু কামরান স্থানীয় উদয়ন কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্লে গ্রুপের ছাত্র ছিলো।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মৌলভীবাজারে সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামের ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার ছেলে কামরান নিজ বাড়ি থেকেই গত ২৯ জুন সকাল ৯টায় নিখোঁজ হয়। বিকেলে একটি ফোন থেকে তার চাচা রাসেলের ফোনে কল করে অপরিচিত ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ৭২ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দেয়। বিষয়টি মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। পরে কামরানের আত্মীয় লিটন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (০২ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টায় অপহৃত কামরানের পিতার চাচা মৃত ছখাওয়াত মিয়ার ছেলে আল-আমিনকে (২৬) আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারই ঘরের বিছানার নিচের মাটি খুঁড়ে কামরানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কামরানদের ঘরের এক ভীটে পড়ে পাষণ্ড আল-আমিনের ঘর। এই বাড়িতে আরও ৩টি ঘর আছে। এমন অবস্থায় এ লোমহর্ষক ঘটনাটি কিভাবে সংঘটিত হলো তাতেই গ্রামবাসী পুরো হতবাক। রোববার রাতে কামরানের মা শিল্পী বেগম ছেলে হত্যার খবর শুনে বারবার মূর্ছা যান। পরে তাকে মৌলভীবাজার শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, অপহৃত শিশুর পরিবারের দেয়া একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালায়। কিন্তু ফোন একবার ব্যবহার করে টাকা চাওয়া হয়। তারপর থেকেই সেটি বন্ধ ছিলো। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আল-আমিনকে আটক করার পর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে থানায় আনা হয়েছে। ৫জনকে আটক দেখানো হয়েছে। আসামীদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে মূল ঘটনাটি উদ্ধার করা হবে।