সংসদে তালিকা দিলেন অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত : ঋণ খেলাপিদের পেঠে ১ লাখ ১১,৩৪৭ কোটি টাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০১৭
ঢাকা প্রতিনিধি: এক লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণের তথ্যসহ ঋণখেলাপি ১০০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তালিকা সংসদে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত খেলাপি ঋণের মোট পরিমাণ এক লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা বলে জানালেও কোন প্রতিষ্ঠান কত টাকা খেলাপি, তা তিনি তালিকায় উল্লেখ করেননি। এ তালিকার মধ্যে দুই ব্যক্তির নাম ও বাকি ৯৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শীর্ষ ঋণখেলাপির এ তালিকায় দুই ব্যক্তি হলেন- মুজিবুর রহমান খান ও এমদাদুল হক ভূঁইয়া। প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের তালিকায় দু’টি প্রতিষ্ঠানের নাম দুইবার রয়েছে। এ দু’টি হচ্ছে বিসমিল্লাহ টাওয়েলস ও যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল।
গত ১০ জুলাই সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর এই তালিকা সংসদে লিখিত আকারে উপস্থাপিত হয়। অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে সংসদে প্রশ্নের উত্তর দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স, জেসমিন ভেজিটেবল, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস, বেনেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ট্রেডিং হাউজ, আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ, কোয়ান্টাম পাওয়ার্স সিস্টেমস, এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রডাক্ট, আলফা কম্পোজিট টাওয়েলস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল, হলমার্ক ফ্যাশন, মুন্নু ফেব্রিক্স, ফেয়ার ট্রেড ফেব্রিক্স, সাহারিশ কম্পোজিট টাওয়েল, নুরজাহান সুপার অয়েল। সালেহ কার্পেট মিলস, এস কে স্টিল, চৌধুরী নিটওয়্যারস, রনকা শোয়েল কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, টি অ্যান্ড ব্রাদার নিট কম্পোজিট, তানিয়া এন্টারপ্রাইজ ইউনিট, রহমান স্পিনিং মিলস, এস স্পিনিং লাইন, হাজী ইসলাম উদ্দিন স্পিনিং মিলস, গ্রামবাংলা এমপিকে ফার্টিলাইজার অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, টেলি বার্তা, কটন করপোরেশন, ভারগো মিডিয়া, সোনালী জুট মিলস, এক্সপার টেক, এমবিএ গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল, ওয়ালমার্ট ফ্যাশন, ওয়ান ডেনিম মিলস, অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, হিমালয় পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস, এম কে শিপ বিলডার্স অ্যান্ড স্টিলস, রনকা ডেনিম টেক্সটাইল মিলস, ম্যাক শিপ বিলডার্স, বিশ্বাস গার্মেন্টস, মাস্টার্ড ট্রেডিং, হিন্দুল ওয়ালি টেক্সটাইল, ইসলাম ট্রেডিং কনসোর্টিয়াম, কাপিট্যাল বনানী ওয়ান, মেরিন ভেজিটেবল অয়েল, অর্জন কার্পেট অ্যান্ড জুট ওয়েভিং, এ জামান অ্যান্ড ব্রাদার্স, অরনেট সার্ভিসেস, দোয়েল অ্যাপারেল, আশিক কম্পোটিজ টেক্সটাইল মিলস, মুন বাংলাদেশ, মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স, এইচআর স্পিনিং মিলস, বিসমিল্লাহ টাওয়েলস, কেয়া ইয়ার্ন মিলস, তাবাসসুম এন্টারপ্রাইজ, অ্যাপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, দ্য ওয়েল টেক্স, ডেল্টা সিস্টেমস, জাহিদ এন্টারপ্রাইজ, হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থা, নিউ রাখী টেক্সটাইল মিলস, আলী পেপার মিলস, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্দান ডিস্টিলারিজ, লাকি শিপ বিলডার্স, যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল, মাকসুদা স্পিনিং মিলস, শাপলা ফাওয়ার মিলস, সিদ্দিক অ্যান্ড কোম্পানি, যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল, মনোয়ারা ট্রেডিং, এ কে জুট ট্রেডিং, মাহাবুব স্পিনিং, আল আমিন ব্রেড অ্যন্ড বিস্কুট, প্রফিউশন টেক্সটাইল, মা টেক্স, সুপার সিক্স স্টার শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড, টেকনো ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ন্যাম করপোরেশন, জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পিএ, সর্দার অ্যাপারেলস, জেড অ্যান্ড জে ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বাস টেক্সটাইলস, মডার্ন স্টিল মিলস, নিউ অটো ডিফাইন, অনিকা এন্টারপ্রাইজ, ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ, মোবারক আলী স্পিনিং মিলস, আফিল জুট মিলস, রেজা জুট ট্রেডিং, আর কে ফুডস, আলফা টোবাকো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, ফেয়ার এক্সপো ওয়েভিং মিলস, কেয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ও ফিয়াস এন্টারপ্রাইজ।