বিএনপি’কে কঠোর জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিতে হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০১৭
: মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন :
২০১৯ সনের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইতোমেধ্যই ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন। দেশের বিভিন্ন মহল বিএনপি’র এ কর্মসূচীকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং তার বাংলাদেশী অপারেটিভদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০০৯ সনে বিডিআর হেডকোয়ার্টারে ৫৭জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাসহ তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন নির্মম নিহত হবার পর থেকে বাংলাদেশের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিএনপি’র অনুকূলে হাওয়া বইতে শুরু করে। মিথ্যা অভিযোগ মামলা, গণগ্রেফতার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বিভিন্ন অভিযোগে জঙ্গী নিমূর্লের নামে গুম, গুপ্ত হত্যা, পুলিশ হেফাজতে কিংবা কারাভ্যন্তরে হত্যা, গাড়ির নিচে ফেলে হত্যা, ক্রসফায়ারে হত্যা, বাসট্রাকে চাপা দিয়ে হত্যা, মিথ্যে আত্মহত্যার নামে হত্যা, তথা বিনা বিচারে নির্বিচার গণহত্যা; ব্যাংক-শেয়ারবাজার লুট; মানুষের ঘরবাড়ি-জায়গা-জমি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল; সর্বক্ষেত্রে দলীয় ক্যাডার-কর্মী নিয়োগ; আইন-শৃংখলা ও দলীয় ক্যাডারদের চাঁদাবাজি; অবাধ নির্বাচনসহ মানুষের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ; গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিলোপ; বিরোধী দলীয়দের নেতাকর্মী-সমর্থকদের দাবিয়ে রাখতে তথা নির্মূল করতে বিচার-বিভাগসহ দেশের প্রশাসন ব্যবস্থা দলীয়করণ; আওয়ামী ডিজিটালীদের উন্নয়নের নামে অবৈধভাবে দেশের সম্পদ লুটে নিয়ে স্বদেশে-বিদেশী অগাধ সম্পদের মালিক হওয়া; সরকারী-স্বায়ত্ত্বশাসিত, এমনকি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে, এমনকি সর্বক্ষেত্রে ভারতকে সংযুক্ত করা এবং ভারতীয়দের প্রাধান্য দেয়া ইত্যাদি আওয়ামী লীগকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। সর্বোপরি, ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণে বাংলাদেশে হিন্দু সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া, দেশকে ভারতের একচেটিয়া বাজারে পরিণত করা ছাড়াও অজানা সংখ্যক প্রকাশ্য এবং গোপন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ভারতের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু জনগণ তাদের ঈমান-আকিদা, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যবোধ এবং বিশেষত: স্বদেশের স্বার্থ-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে শঙ্কিত এবং এগুলোর সুরক্ষার জন্য তারা দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চান।
বাংলাদেশী, এমনকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ দফায় দফায় একেবারে মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী জোট ক্ষমতায় ফিরে আসবে না। সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী গৃহপাতিল বিরোধীদলের পালের গোদা এরশাদকে ভারতের পরামর্শে ও প্রযোজনায় বি-টিম হিসেবে মাঠে নামিয়ে জাতীয়তাবাদী শিবিরের ভোটারদের বিভ্রান্ত, এমনকি বিভক্ত করেও আওয়ামী লীগ পার পাবে না। আওয়ামী জোট সবার্ধিক ৫০টি আসন পেতে পারে।
স্বদেশী-বিদেশী জরিপ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশী কিছু সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠক বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে টেলিফোনে কথা বলে এবং অতি সম্প্রতি দেশ থেকে ফিরে এসেছেন এমন প্রবাসীদের সাথে আলাপ করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিশ্চিত পরাজয়ের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পেয়েছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, তাদের অধিকার, সুষ্ঠু ন্যায়-বিচার, শান্তিময় সুখী সমজা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের বিকল্প হিসেবে জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
সত্যিকার অবাধ ও প্রশাসনিক কিংবা বাইরের কোন শক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন জনগণের আশাা-আকাংখার প্রতিধ্বনি অনুযায়ী বিএনপি জোটই বাংলাদেশে পরবতর্বী সরকার গঠন করবে। আর স্বাভাবিকভাবে বিএনপি’কে ঐতিহাসিক দায়িত্ব নিয়েই ক্ষমতায় আসতে হবে। মনে রাখতে হবে জনগণ দলগত পরিবর্তন চায় না। জনগণের প্রত্যাশা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ যা কিছু হারিয়েছে এবং আগামী নির্বাচনের অবধি যদি আরো কিছু হারিয়ে হয়, সেগুলোর পুনরুদ্ধারের শপথ নিয়েই বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে বাইরের আগ্রাসী হস্তক্ষেপ এবং অভ্যন্তরীন গোলযোগ মোকালোয় বিএনপি’কে কঠোর জাতীয়তাবাদী অবস্থানে অটল ও অবিচল থাকতে হবে। সম্ভাব্য জাতীয়তাবাদী সরকারকে ব্যর্থ করার ছক্ ইতোমধ্যেই নয়াদিল্লীতে তৈরি করে রাখা হয়েছে। তা সত্বেও আওয়ামী সরকারের সাথে ভারতের স্বাক্ষরিত সামরিক চুক্তিসহ সব ধরনের গোপন ও প্রকাশ্য চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং সেগুলোর উপর জাতীয় সংসদে এবং বাইরে উন্মুক্ত আলোচনা, সমালোচনা ও পর্যালোচনার সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এসব চুক্তি দেশের স্বার্থ ও অস্তিত্ববিরোধী ধারা বা শর্তগুলো বাতিল করার উদ্যোগ নিতে হবে। কিংবা এ চুক্তিগুলোর ভাগ্য কী হবে তা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে গণভোটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
অন্যদিকে ভারতকে দেয় সব ধরনের তথাকথিত ট্রানজিট বা করিডোর সংক্রান্ত চুক্তি সংশোধন করতে হবে। এটা ছিল চারদেশীয় চুক্তি। এ চুক্তি বলে বাংলাদেশ ভারত নেপাল ও ভুটান পরস্পরের ভূখ- বাণিজ্যিক যানবাহন চলাচলে ব্যবহার করবে। কিন্তু ভারতের কারসাজি ও চক্রান্তের কারণে ভারতের উপর বাংলাদেশের যানবাহন নেপালে কিংবা ভুটানে যেতে পারে না এবং তাদের যানবাহনও ভারত হয়ে আমাদের দেশে পারে না। কারণ নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ করুক ভারত তা চায় না। দুটি দেশই বাধ্য হয়ে কেবলমাত্র ভারতের মাধ্যমেই তাদের বহির্বাণিজ্য চালাতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে এ চুক্তিটি সম্পূর্ণভাবে ভাররেত স্বার্থে করা হয়েছে । বাকি তিনটি দেশ কোনভাবেই এ চুক্তির দ্বারা উপকৃত হচ্ছে না। এ চুক্তি বলে ভারত একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশকে তার নিজের ভূখ-ের মতো ব্যবহার করছে। কিন্তু এর বিনিময়ে বাংলাদেশকে লজ্জাজনক হারে শুল্ক দেয়া হয়, যা উল্লেখ করতেও আমার লজ্জা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে ভবিষ্যু সরকারকে প্রথমতঃ বিশ্বের অন্যান্য করিডোর সুবিধা প্রদানকারী দেশগুলো যেহারে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পায় ভারতের কাছ থেকে সেহারে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা আদায় করতে হবে। দ্বিতীয়তঃ ভারত নেপাল-ভূটানের গাড়ি বাংলাদেশে যাতায়াতের অবাধ অধিকার না দিলে সম্পূর্ণ চুক্তিই বাতিল করতে হবে। তৃতীয়তঃ ভারত তার সুবিধা মতো ক্ষুদ্র বাংলাদেশে নয়টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার অধিকার আদায় করেছে। এ ধারা বাতিল করে মাত্র একটি পয়েন্ট ভারতীয় যানবাহন বাংলাদেশে করে আরেকটি পয়েন্টে যাবার সুযোগ দিতে হবে। বাকি পয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। চতুর্থতঃ এসব যানবাহন যখন তখন যেখানে সেখানে ভারতের বিনা অনুমতি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার সদস্যদেরকে তল্লাশী করার সার্বভৌম অধিকার দিতে হবে। ঢাকা-কলিকাতা কিংবা খুলনা-কলিকাতার মধ্যে যাতায়াতকারী ট্রেনও তল্লাশীর আওতায় আনতে হবে। পঞ্চমতঃ ভারতীয় বাস, ট্রাক, লরি, রেলাগাড়ি, লঞ্চ, জাহাজ বাংলাদেশ ভূখ-ে প্রবেশ করলেই এ সব যানবাহনের সামনে এবং পিছনে বাংলাদেশের পতাকা থাকতে হবে এবং কোনভাবেই ভারতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। ভারত এসব শর্ত না মানলে কথিত ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করার উদ্যোগ নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক সব নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা নিশ্চিত করতে এবং বর্ষাকালে ভারত আসা পানির কারণে বাংলাদেশে সৃষ্ট বন্যা ও পরিবেশন দূষণের ক্ষতিপূরণ প্রদানে ভারতকে বাধ্য করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক আদালতে বিষয়গুলো উপস্থাপন করতে হবে।
বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অবাধ সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে। ভারত বাংলাদেশের যতোগুলো টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে রাজি হবে ততোসংখ্যক ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচারের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় ভারতের সবগুলো চ্যানেলের সম্প্রসার নিষিদ্ধ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে জি বাংলা, কালার বাংলা, স্টার জলসা, জলসা মুভিসহ, বাংলাদেশের সামাজিক ও সংস্কৃতিক ভাবধারার সাথে সাংঘর্ষিক চ্যানেলগুলো সম্প্রচার চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইভাবে ডিশ কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্প সুরক্ষা ও প্রসারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় ছায়াছবির প্রদর্শন সরাসরি বন্ধ করে দিতে হবে।
বাংলাদেশকে ভারতের একচেটিয়া বাজার বন্ধ করে বহির্বিশ্ব হতে উন্নতমানের সামগ্রী সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিতে হবে। সর্বক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের উদ্দেশ্যে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে। চীন, আমেরিকা, মায়ানমার, থাইল্যা-সহ দূরের ও কাছের বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক নয় এমনসব দেশের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়তে হবে। ভারতীয় বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে । এ বিনিয়োগ আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমাদের দেশের রয়েছেন এমন বিশেষজ্ঞ কিংবা দক্ষ কর্মীদের বাদ দিয়ে ভারতীয়দের বাংলাদেশে নিয়োগ পুরাপুরি বন্ধ করতে হবে।
সাংস্কৃতিক চুক্তির আবরণে ভারতীয় নট-নটীদের বাংলাদেশে অনুষ্ঠান করার জোয়ার বন্ধ করতে হবে। নট-নটী, গায়ক-গায়িকা, নর্তকীর সংখ্যা সীমিত করতে হবে এবং কোন অনুষ্ঠানেই হিন্দি গান পরিবেশন করা যাবে না এমন শর্ত থাকতে হবে। যৌথ প্রযোজনার নামে ছবি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। আমাদের কোন গানে বা চলচ্চিত্রে কিংবা নাটকে ভারতীয় কোন নাগরিকের অংশ গ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেম সৃষ্টির উদ্দেশ্য স্কুল-কলেজের পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচীতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্যবোধ, উপমহাদেশের মুসলমানদের আগমন, উত্তান-পতন ও অবদান, উপমহাদেশ বিভক্তির কারণ, বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং স্বাধীনতার গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয়ে একেবারে নিরপেক্ষ ও প্রকৃত তথ্য পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড) নামকরণ সীমান্ত বাহিনীর মর্যাদা ও মনোবলের যে ক্ষতি হয়েছে তার ইতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে এ বাহিনীর নাম পবির্তন করে ‘বাংলাদেশ বর্ডার আর্মি’ (বিবিএ) নামকরণ করা জাতীয় দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং এ বাহিনীর প্রশিক্ষণ কোনভাবেই ভারতে কিংবা ভারতীয়দের দেয়া যাবে না। আমাদের সেনাবাহিনীই এ বাহিনী বিবিএ’র সাধারণ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যথেষ্ট।
অনেকেই এমন গুজব ছড়াচ্ছেন যে, ভারত শেখ হাসিনার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্যেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার সুযোগ দিবে। বিএনপিকে এ গুজবের বা প্রচারণার বিপরীতে দাঁড়াতে হবে। ভারতের সাথে বিএনপি কোন আঁতাত করে নি, তা প্রমাণ করতে হলে বিএনপিকে কঠোর জাতীয়তাবাদী অবস্থানে থাকতে হবে। এটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হলেও এর কোন বিকল্প নেই। জনগণ ভারতের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে চান। বিএনপিকে জনগণের অনুভূতি অনুধাবন করতে হবে। বিএনপি কোন ধরনের নমনীয়তার আশ্রয় নিলে বাংলাদেশে বিএনপি’র অস্তিত্ব চিরতরে শেষ হবে যাবে। এবং এ ধরনের নমনীয়তা হবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও দর্শনের পরিপন্থী । মরহুম জিয়া, এমনকি বেগম জিয়া বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন, আপোষ করেন নি। আমাদের বিশ্বাস বিএনপি দেশ ও জাতির স্বার্থে ভবিষ্যতেও সে ধারা অব্যাহত রাখবে এবং দেশের স্বার্থ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব বিরোধী হায়েনার থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করবে।
সর্বোপরি, সর্বক্ষেত্রে এমন বক্তব্যই প্রধান্য পেতে হবে: দেশ সবার উর্দ্ধে এবং দেশ জনগণের; কোন সরকার, দল বা ব্যক্তির নয়।*
লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক, নিউ ইর্য়ক।