টাওয়ার হ্যামলেটসে অপরাধ মোকাবেলায় আরো ১৪ পুলিশ অফিসার নিয়োগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০১৭
দেশ, ২৭ জুলাই: টাওয়ার হ্যামলেটসে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে ১৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস। সেপ্টেম্বর মাস থেকে টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস এর কর্মীদের নিয়ে গঠিত যৌথ এন্টি-সোশ্যাল বিহেভিয়ার টিমে তারা যোগ দেবেন। বিশেষ করে ড্রাগ সংক্রান্ত অপরাধ দমনে তারা বিশেষ মনোযোগ দিবেন। গত ১৯ জুলাই, বুধবার কাউন্সিল অধিবেশনে জন বিগস আনুষ্ঠানিকভাবে এই নিয়োগের ঘোষনা দেন। মেয়র একই সাথে টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসের এস্টেটগুলোতে ইউনিফর্ম পরা সিকিউরিটি অফিসারদের মোবাইল টহল বাড়ানোর লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের ঘোষণাও দেন। নতুন ১৪ জন পুলিশ নিয়োগের পর বারায় সরাসরি কাউন্সিল ফান্ডেড মোট পুলিশের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ২০ জন।
কেন্দ্রিয় সরকার কতৃক ব্যাপকভাবে পুলিশ বাজেট কাটের কারনে বাসিন্দাদের কাছ থেকে ড্রাগসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির অভিযোগ আসার পর মেয়র জন বিগস এই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগের ঘোষনা দিলেন। গত ১৯ জুলাই কাউন্সিল অধিবেশনে ষ্ক্রস্টেইট অব দ্যা বারাম্ব রিপোর্টে মেয়র নতুন পুলিশ নিয়োগের ঘোষনা দিয়ে বলেন, অতিরিক্ত ১৪ জন পুলিশের ব্যাপারে কাউন্সিল ইতিমধ্যেই চুক্তি সম্পন্ন করেছে। তারা সেপ্টেম্বর থেকে টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসের এস্টেটগুলোতে কাজ শুরু করবেন। মেয়র জানান, নতুন ১৪ জন পুলিশসহ সিকিউরিটি টহলখাতে আগামী ৩ বছরে টাওয়ার হ্যামলেটসের অতিরিক্ত ব্যায় হবে ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। মেয়র প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরো বলেন, আমি এখানেই থামবো না। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে আরো পুলিশ অফিসার নিয়োগের লক্ষ্যে তহবিলের ব্যবস্থা করবো। কারন সাধারন বাসিন্দাদের জীবনকে দূর্বিষহ করে তোলা অপরাধীদের পাকড়াও করা আমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তিনি বলেন, ৮ বর্গমাইলের এই বারায় ৩ লাখ মানুষের বাস, তাই প্রায়শই নানা ধরনের সমস্যার উদ্ভব হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ও এন্টিসোশ্যাল বিহেভিয়ার রোধ কল্পে পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাওয়ার ব্যাপারে আমি সর্বদা সচেষ্ট। কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলার আসমা বেগম এ প্রসঙ্গে বলেন, অপরাধ ও সমাজবিরোধী আচরণজনিত কার্যকলাপ রোধে পুলিশকে সহায়তা করার প্যাকেজের অংশ হিসেবে মেয়র এই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। নতুন পুলিশ অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে মাদকাসক্তদের চিক্সিা ও অপরাধ প্রতিরোধের মাধ্যমে আমাদের এই বারাকে বসবাসের জন্য নিরাপদ জনপদে পরিণত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি আরো বলেন, সরকারের বাজেট কাটের কারণে আমাদের রাস্তায় কম সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়টি এখন সুস্পষ্ট। এই জন্য কাউন্সিলের নতুন এই বরাদ্দ অধিকতর গুরুত্ব বহন করে। ডেপুটি মেয়র এবং হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি হাউজিং এস্টেটকে আমরা বাসিন্দাদের জন্য যতটুকু সম্ভব নিরাপদ করতে চাই। আশাকরি নতুন পুলিশ অফিসার ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা টহল সত্যিকারের পরিবর্তন আনবে। ইতিমধ্যে পুলিশ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস স্টাফদের যৌথ অংশিদারিত্বমূলক একশন আমাদের এস্টেটগুলোতে ভালো ফল বয়ে এনেছে।
তিনি জানান, রিপোর্টিংয়ের জন্য নতুন টিমের একটি মাত্র বিশেষ টেলিফোন নাম্বার থাকবে। যেসব এলাকায় এএসবি বা এন্টিসোশ্যাল বিহেভিয়ার সমস্যা প্রকট সেখানে যৌথ দলটি বিশেষ ত্পরতা চালাবে। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাস থেকে অপরাধের হটস্পট হিসেবে চিহ্নত এলাকাগুলোতে নতুন টাস্কফোর্স সারা রাত টহল দিবে। সিরাজুল ইসলাম জানান, নতুন পুলিশ অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে এবং আসন্ন র্শ কালের মধ্যেই পোষাকধারী পুলিশ টিম কাজ শুরু করবেন। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বার্ষিক রেসিডেন্টস সার্ভে বা মতামত জরিপে বাসিন্দাদের কাছে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো অপরাধ।