বিবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট এনাম আলী এমবিই’র পিতার ইন্তেকাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ আগস্ট ২০১৭
দেশ রিপোর্ট: ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট এনাম আলী এমবিই’র পিতা সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের পলাশী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা হাজী মনোহর আলী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি গত ১ আগস্ট মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন পরোপকারী ও ধর্মপরায়ন। তিনি বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করেছেন বৃটেন, আমেরিকা ও কানাডায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতি-নতনীসহ দেশে বিদেশে বহু আত“ীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের ৫ ছেলের মধ্যে এনাম আলী এমবিই, আনোয়ারুল ইসলাম ডিএস, লিনিয়েস আলী ও এলেক্স আলী যুক্তরাজ্যে এবং আমিনুল ইসলাম দিনেশ কানাডায় বসবাস করেন। তিন মেয়ের মধ্যে ইয়াসমিন আলী ও শিপু ইয়াসমিন যুক্তরাজ্যে এবং ডেইজি ইয়াসমিন আমেরিকায় স্বপরিবারের বসবাস করেন। পিতার মৃত্যুর সময় ডেইজি ইয়াসমীন ও ইয়াসমীন আলী শয্যাপাশে ছিলেন।
বুধবার বিকেলে সাপ্তাহিক দেশ’র সাথে আলাপকালে এনাম আলী এমবিই জানান, যুক্তরাজ্য থেকে তাঁরা সকল ভাই-বোন বিকেলের ফ্লাইটে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শুধু কানাডার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম দিনেশ-এর নো-ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দেশে যেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। ৪ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুমা হযরত শাহজালাল দরগাহ জামে মসজিদে তাঁর পিতার জামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁকে দরগাহ মসজিদ সংলগ্ন গোরস্থানে দাফন করা হবে।
এনাম আলী এমবিই জানান, তাঁর পিতার মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে বৃটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্নস্তরের মানুষ টেলিফোনে তাঁকে গভীরভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন। অনেকেই সরাসরি তাঁর বাসভবনে চলে যান। তাঁর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কমিউনিটির মানুষের ভালোবাসায় আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। এতে প্রমাণ হয়, জীবনে সৎ থাকলে, মানুষের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করলে দুঃসময়ে মানুষ পাশে দাঁড়ায়। তিনি সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর পিতার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া কামনা করেন।