২ হাজার বন্যাদুর্গত পরিবারকে ত্রাণ দিলো ইক্বরা ইন্টারন্যাশনাল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০১৭
লন্ডন, ৪ আগস্ট : ঘরের ছালের ফুটো দিয়ে গড়িয়েপড়া টিপ্টিপ্পানি এখনো চি? বহন করে বন্যা বিভীষিকার। তছনছ সাবেরা বেগমের ৬ সদস্যের পরিবার। কুলাউড়ার জুড়ি উপজেলায় বসবাস সাবেরা বেগমের। জটিল বিভিন্ন রোগ বালাইর কারণে সারা বছর বিছানাতেই স্বামীর বাস। এ বাড়ি ও বাড়ি কাজ করে আর গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় কোনোমতে দিনযাপন করছিলেন সাবেরা। কিন্তুু এক বন্যার ধকল কাটাতে না কাটাতেই আরেকটি বন্যা সাবেরার জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ। এ রকম হাজার হাজার সাবেরার দুঃখের গল্প পত্রপত্রিকা খুললেই পাওয়া যাবে। ইক্বরা ইন্টারন্যাশনাল গত ২১ বছর ধরে সেইসব দুর্গতদের পাঁশে দাড়িয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশু এবং পরিবারকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দেয়ার দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশের যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগেই ইক্বরা সবসময় আর্তমানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে পৌঁছে দিয়েছে দানশীল প্রবাসীদের দেয়া ত্রাণসামগ্রী।
এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চলের জনগণ। ইক্বরা ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম প্রসাতি ছিল সেইসব দুর্গত এলাকাতে যেখানে একমাত্র ত্রাণ সামগ্রী মানুষকে নিশ্চয়তা দিয়েছে আরো কিছুদিন দুবেলা খেয়ে থাকার। এই ত্রাণ পেয়েছে ২ হাজারেরও অধিক পরিবার। সিলেট, সুনামগঞ্জ,মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চলে বিতরণ করা হয়েছে এই ত্রাণ সামগ্রী। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিলেতের বাঙালি কমিউনিটিও ছিল সর্বদা সজাগ, বাংলাদেশের বন্যা তাদের করেছে চিন্তিত। অনেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে যার যার মতো এগিয়ে এসেছেন বন্যায় আক্রান্ত মানুষের কল্যাণে।
পুরো ত্রাণ কার্যক্রম সম্পর্কে ইক্বরার চেয়ারম্যান আব্দুল হক হাবিব বলেন, এবারের বন্যা যেভাবে মানুষকে আক্রান্ত করেছে অন্তত গত দশ বছর আমরা এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি। বন্যা আক্রান্ত মানুষগুলির দুর্ভোগ যেভাবে আমাদের কষ্ট দিয়েছে, একইভাবে আমাদের কমিউনিটি আবার প্রমাণ করেছে যেকোনো দুর্যোগে আমরা সবসময় মানুষের পাশে আছি। এমন মহানুভবতা আমাদেরকে উৎসাহ দেয় আরো ভালো কাজের। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের কমিউনিটির কাছে। আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ চ্যানেল এস কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদেরকে ইউকে এবং বাংলাদেশের টিম দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য। মহান আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করি যেন তিনি যারা এই বন্যায় ভোগান্তিতে আছেন তাদের সবার কষ্ট দূর করে দেন এবং দ্রুত স্বাভাবিক জীবন যাপন করার তৌফিক দান করেন।