বাহরাইনে ২ বাংলাদেশীর যৌনতার ফাঁদ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০১৭
দেশ ডেস্ক: বাহরাইনের মানামায় যৌন ব্যবসা ও অবৈধ উপায়ে লোক নিয়োগের দায়ে একটি চক্রকে আটক করেছে মানামা পুলিশ। বলা হচ্ছে, এসব ব্যবসা পরিচালনা করতো দু’জন বাংলাদেশী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে তল্লাশি চালানোর পর এ চক্রটির সন্ধান পায় পুলিশ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডিটি নিউজ নেটওয়ার্ক।
এতে বলা হয়, গ্রুপটির পরিচালনায় থাকা দুই বাংলাদেশী তাদের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। চক্রটি ভাল বেতনের প্রলোভন দিয়ে অনেক নারী গৃহকর্মী ও শ্রমিককে প্রলুব্ধ করেছে। তাদেরকে পরে তারা বিক্রি করে দিয়েছে। এ কথা বলেছেন মানামার গভর্নরেট পুলিশ ডিরেক্টরেট রিসার্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের প্রধান মেজর মোহাম্মদ খালিদ আল ভুইয়া। তবে তিনি ওই বাংলাদেশীদের নাম ও তাদের ঠিকানা প্রকাশ করেননি। তিনি বলেছেন, নারী গৃহকর্মীরা ও শ্রমিকরা যে আয় করেন তার মূল অংশই নিয়ে নেয় ওই বাংলাদেশীরা। বাকি সামান্য অর্থ পান ভুক্তভোগিরা। তিনি আরো বলেন, আমরা তল্লাশি চালানোর সময় বেশ কিছু ফ্লাটের সন্ধান পেয়েছি। সেখানে ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারতের মতো দেশের নারীরা অবস্থান করছেন। তারা বলেছেন, তারা নারী গৃহকর্মী। তাদেরকে যেখানে নিয়োগ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখান থেকে তারা চলে গেছেন। তারা ওই দুই বাংলাদেশীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদের পরামর্শেই তারা বের হয়ে এসেছেন।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এসব নারী গৃহকর্মীর অনেকেই যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। মেজর মোহাম্মদ খালিদ বলেন, এসন নারীর অনেকেরই আছে ফেসবুক একাউন্ট। এ ছাড়া আরো অনেক সামাজিক মিডিয়ায় তাদের একাউন্ট আছে। এর মাধ্যমে তারা খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। এর মাধ্যমেই তারা শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে দরদাম ঠিক করে। এ ছাড়া কোথায় কি কাজ করবে, কোথায় পরিস্থিতি কি তাও তারা জেনে নেয় এসব একাউন্টের মাধ্যমে। এই চক্রটির শিকারের প্রধান অংশ হলো নারী। তবে তাদের ফাঁদে পা দিয়েছেন পুরুষরাও। অনেক শ্রমিক কাজ করছেন, বাসাবাড়ির কাজ করছেন। কিন্তু তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই দুই বাংলাদেশী।