৮০ দেশের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে কাতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০১৭
দেশ ডেস্ক: বিমান ট্রানজিট ও পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে ৮০টি দেশের নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে কাতার। এ সব দেশের মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েক ডজন দেশ। রয়েছে ভারত, লেবানন, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রের নাম। তবে এই ৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম আছে কিনা তা জানা যায় নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, ওই ৮০টি দেশের নাগরিককে কাতারে প্রবেশের জন্য শুধু বৈধ ভিসা দেখাতে হবে। তাহলেই তারা কাতারে প্রবেশ করতে পারবে। এর মধ্যে ৩৩টি দেশের নাগরিককে ১৮০ দিন কাতারে থাকার অনুমতি দেয়া হবে। বাকি ৪৭টি দেশের নাগরিকরা থাকতে পারবেন ৩০ দিন। দোহা’য় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন কাতার টুরিজম অথরিটির টুরিজম ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা হাসান আল ইব্রাহিম। তিনি বলেছেন, ভিসামুক্ত করে দেয়ার এ স্কিমের আওতায় কাতার হবে সবচেয়ে উন্মুক্ত দেশ। উল্লেখ্য, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ উপসাগরীয় কতগুলো দেশ গত ৫ই জুর কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে। তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। বাতিল করা হয়েছে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট। তাদের অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। তাদেরকে সমর্থন করে।
এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে রয়েছে তাদের ঘনিষ্ঠতা। এসব ত্যাগ করতে হবে কাতারকে। ওই অবরোধ আরোপের ফলে কাতারের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ। তার আগে দেশের অর্থনীতিকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করছে তারা। এ উদ্দেশেই কাতারকে উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হচ্ছে ৮০ টি দেশের নাগরিকের জন্য। পর্যটন খাতে এ সুবিধা দেয়ায় ধারণা করা হয় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের ঢল নামবে তেলসমৃদ্ধ কাতারে। তবে এক্ষেত্রে সন্দেহভাজন বা দাগী কোনো সন্ত্রাসীর কাতারে প্রবেশ কিভাবে সনাক্ত করা হবে, আদৌ তাদেরকে সনাক্ত করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
এমনিতেই শান্ত দেশ কাতার। সেখানে কোনো বড় ধরনের অঘটন বা সন্ত্রাসী হামলা বা অপরাধের খবর পাওয়া যায় না বললেই চলে। দেশটিকে উপসাগরীয় দেশগুলো বর্জন করার পর তারা নতুন করে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেছে কুয়েত, মিশর, যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কোনো মধ্যস্থতা এখন পর্যন্ত দৃশ্যত সফলতা পায় নি। তার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য কাতারের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য ভিসামুক্ত এই পদক্ষেপ। ওদিকে দেশটিতে খাদ্য সরবরাহ পাঠিয়ে যাচ্ছে কাতার ও ইরান। নির্মাণ সামগ্রি নিয়ে ওমান হয়ে ভাড়া করা জাহাজের পৌঁছানোর কথা সেখানে।