লাফিং গ্যাস ব্যবহার প্রতিরোধে নো লাফিং ম্যাটার ক্যাম্পেইন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০১৭
দেশ, ১১ আগস্ট: নাইট্রাস অক্সাইড ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবেলায় টাওয়ার হ্যামলেটস’ কাউন্সিল, টাওয়ার হ্যামলেটস পুলিশ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস’ হোমস যৌথভাবে নো লাফিং ম্যাটার নামে একটি প্রচারাভিযান শুরু করেছে। লাফিং গ্যাস নামে পরিচিত নাইট্রাস অক্সাইড গ্রহণ করে বারার বিভিন্ন নেইবারহুডে সমাজবিরোধী আচরণজনিত কার্যকলাপ নিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন যে, একদল লোক এটি গ্রহণ করতে দেখাটা আতংকজনক, শব্দগত উপদ্রব সৃষ্টিকারী এবং এলাকাকে আবর্জনাময় করে তুলে, কারণ ছোট ছোট ধাতব ক্যানিস্টারের স্তুপ পড়ে থাকে যত্রতত্র। এছাড়া কিছু কিছু লোক গাড়ি চালানো অবস্থায়ও এটি গ্রহণ করে থাকে বলে পুলিশের কাছে রিপোর্ট রয়েছে।
নো লাফিং ম্যাটারম্ব শির্ষক এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এর সাথে সংশ্লিষ্টরা নাইট্রেস অক্সাইড বা লাফিং গ্যাস ব্যবহারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে লোকজনকে অবহিত করবে, মানুষের ব্যবহারের নিমিত্তে যারা এটি বিক্রি করছে তাদের সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্য বাসিন্দাদের আহধ্বান জানাবে, কোথাও নাইট্রাস অক্সাইডের খালি ক্যানিস্টারস পড়ে থাকতে দেখতে তা রিপোর্ট করতে এবং নাইট্রাস অক্সাইডের বিপদ সম্পর্কে স্কুলের বাচ্চচাদের সাথে কথা বলবে। উপরন্তু, টাওয়ার হ্যামলেটস’ হোমস এর নেইবারহুডগুলোতে এন্টিসোশ্যাল বিহেভিয়ারের হার কমিয়ে আনতে নিয়মিত টহল দিতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ১৪ জন অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার নিয়োগের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। মেয়র জন বিগস এ প্রসঙ্গে বলেন, শুধু আমাদের বাসিন্দাদের কাছেই নয়, গোটা লন্ডনেই নাইট্রাস অক্সাইড গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সমাজ বিরোধী আচরণজনিত কার্যকলাপের সাথে এর সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং এটার বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তা করা দরকার। তিনি বলেন, নো লাফিং ম্যাটারম্ব ক্যাম্পেইনে লোকজনকে নাইট্রাস অক্সাইডের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করতে আমাদের ও পুলিশ এবং টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে। যারা এই গ্যাস বিক্রি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিত্যক্ত ক্যানিস্টার অপসারণ করার ওপরও নজর দেয়া হবে এই ক্যাম্পেইন চলাকালে।
ষ্ক্রবাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও আমাদের সকল পার্টনারদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে আমরা নিরাপদ থাকিম্ব বলে বলে মন্তব্য করেন মেয়র। কেবিনেট মে“ার ফর কমিউনিটি সেফটি, কাউন্সিলর আসমা বেগম বলেন, আমাদের কিশোর তরুণ বয়সীদের কাছে যারা নাইট্রাস অক্সাইড বিক্রি করে তাদের দোকান বন্ধ করে দিতে আমরা পুলিশের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবো। আমি বাসিন্দাদের এই মর্মে আশ্বস্ত করতে চাই যে, মাদক ব্যবহারকারীদের ব্যবহৃত লাফিং গ্যাসের ছোট ছোট ধাতব বোতল বা ক্যানিস্টার দৃষ্টিকটু হলেও তা ক্ষতিকর নয়। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো পরিস্কার করতে আমরা আমাদের রাস্তা পরিচ্চছন্ন কার্যক্রমকে আরো বাড়াবো।
বারা কমান্ডার স্যু উইলিয়ামস বলেন, এই সমস্যাটি মোকাবেলায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্চেছ। লাফিং গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা কম বয়সীদের সচেতন করে যাবো এবং যে সকল দোকানে এটি বিক্রি হয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেবো। যারা গাড়ি চালানো অবস্থায় এটি গ্রহণ করে থাকে, তাদেরকে গাড়ি চালানোর অনুপযুক্ত ঘোষনার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর মানে হলো ড্রাইভিংয়ের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া, পয়েন্ট বা জরিমানা লাভ। অতএব সাবধান হন। টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস এর চীফ এক্সিকিউটিভ, সুস্মিতা সেন এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন, মাদকের ব্যবহার আমাদের কমিউনিটিগুলোর উপর বাজে প্রভাব ফেলছে এবং এর পরিণাম আমাদের অনেক এস্টেটে দৃশ্যমান। শব্দগত উপদ্রব, আবর্জনা, দলবদ্ধ হয়ে নাইট্রাস অক্সাইড গ্রহণকারীদের কাছ থেকে প্রায়শই হুমকিমূলক আচরণের শিকার হচ্চেছন আমাদের বাসিন্দারা।
তথাকথিত এই লিগ্যাল-হাই নামে পরিচিত এই লাফিং গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা বাসিন্দাদের সচেতন করতে আমাদের সকল অংশিদারদের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করে যাবো। বাসিন্দারা যাতে সহজেই যত্রতত্র ফেলে যাওয়া ক্যানিস্টারের ব্যাপারে রিপোর্ট করতে পারেন, সেজন্য রিপোর্টিং পদ্ধতিকে সহজতর করা হবে।