বাহুবলে মসজিদ কমিটি ও ইমাম পরিবর্তনের জের ধরে সংঘর্ষে নিহত ২
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০১৭
ডেস্ক রিপোর্ট: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মুগকান্দি মসজিদ কমিটি ও ইমাম পরিবর্তনের জের ধরে সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছে। আহতদের বেশির ভাগই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। নিহতরা হলো, মুগকান্দি গ্রামের কবির মিয়া লন্ডনী (৫৫) ও একই গ্রামের মতিন মিয়া (৫০)। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকাল ৬টার দিকে। আগের দিন বাদ জুমা একই ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২৫ রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করে। ঘটনার পরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে ৮ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের মুগকান্দি জামে মসজিদের কমিটি গঠন ও ইমাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। একপক্ষ বর্তমান ইমাম ফরিদ আখঞ্জীর পরিবর্তন চায়। অপরপক্ষ ওই ইমামের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় গত শুক্রবার জুমার নামাজে সাতকাপন ইউপি চেয়ারম্যান মুগকান্দি গ্রামের আবদাল মিয়া আখঞ্জী গ্রুপের সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মুশাহিদ মেম্বার গ্রুপের শফিক মাস্টারের বাক-বিতণ্ডা হয়। এ বাক-বিতণ্ডার জের ধরে বাদজুমা উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু’ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এর জের ধরে গতকাল সকাল ৬টার দিকে উভয়পক্ষ দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দু’ঘণ্টা স্থায়ী সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ১০০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ২৫ রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মাঝে গুরুতর মুগকান্দি গ্রামের কবির মিয়া লন্ডনী (৫৫) কে বাহুবল হাসপাতাল এবং একই গ্রামের মতিন মিয়া (৫০) কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা হলেন-আজাদ (২৬), সুহেল মিয়া (৩০), সেলিম আখঞ্জী (৩০), মহিবুর রহমান (২৫), সমাই মিয়া (৩৫), রুনু মিয়া (৫০), সানু মিয়া (৬০), সিজিল মিয়া (২৮), নূর উদ্দিন (১৮), নূর মিয়া (৬০), আরশ মিয়া আখঞ্জী (৫৫), তোফায়েল (২৫), বাবুল মিয়া (৩৫), রুবেল (১৮), কাছন মিয়া (৫০), সুজন আখঞ্জী (২৭), সোহান আখঞ্জী (২২), জাহাঙ্গীর মিয়া (৬০), জাহিদ মিয়া (২৮), মমিন মিয়া (২৭), জুনাব আলী (৫০), রাজিব (১৩) ও রাফিন (১৫), মো. জসিম (৩৮), মোছাব্বির আখঞ্জী (২০), রাজন মিয়া (২২), আনোয়ার মিয়া (৫৫), এএসআই সুহেল শাহ (৩৩), কনস্টেবল জাহিদ খান (২৬) ও আনোয়ার হোসেন (২০) প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার এসআই মফিদুল হক জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ১০০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ২৫ রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনার পরপর বিভিন্ন স্থান থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।