সিলেটে সড়কে ঝরলো ৭ প্রাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২৩
সিলেট প্রতিনিধি:: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ঝরলো ৭ প্রাণ। এর মধ্যে ৫ জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। বাকি ২ জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। নিহতদের মধ্যে ৩ জনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের খগাইল এলাকায় পিয়াইনগুল কাজী কলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের মধ্যে রয়েছেন সিএনজি অটোরিকশার ৬ জন, অপরজন নোহা মাইক্রোবাসের চালক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৭৪৬২) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খগাইল এলাকায় পিয়াইনগুল কাজী কলিমুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে গাড়িটির সামনের ডানপাশের চাকা পাংচার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে দুটি গাড়িই পাশের খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা শ্যামল বনিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ সময় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। মাইক্রোবাসের চাকা পাংচার হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন তিনি।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ৬ জন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। আর ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।
এদিকে নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. ইদ্রিস আলী, কাজী আমির উদ্দিন, মো. কালন মিয়া ও তাহের। নিহত তাহের মাইক্রোবাসের চালক। তার বাড়ি ঢাকার রায়ের বাজারে। নিহত বাকি ৩ জনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। নিহত আমির উদ্দিন একটি কলেজের শিক্ষক। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজনরা। এ সময় লাশ দেখে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।