আনন্দ-উচ্ছ্বাসে বিএলএ ইউকের সামার ট্রিপ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন বাংলাদেশআইন সমিতি (বিএলএ) ইউকের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সামার ট্রিপের আয়োজন করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার এই সামার ট্রিপের আয়োজন করা হয়। এবার সংগঠনের সদস্যরা ঘুরতে গিয়েছিলেন আইল অফ ওয়াইট। তবে এবারের আয়োজনটি ছিল খানিকটা ভিন্ন রকমের। আগের সামার ট্রিপের চেয়ে এবার ছিল বড় পরিসরের। সংগঠনের সদস্য এবং তাদের পরিবার মিলে দুটি বাসের ১০৯ টি আসন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
আয়োজনের সিংহভাগ ব্যয় বহন করেও সংগঠনটির তিনবারের সভাপতি এডভোকেট শাহ আলম সরকার স্বাস্থ্যগত কারণে ট্রিপে শরীক হতে পারেননি। তবে সংগঠনের সেক্রেটারি ব্যারিষ্টার হারুনুর রশিদের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফলে সভাপতির অভাব তেমনটা অনুভূত হয়নি। ফাউন্ডিং প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নাজির উদ্দীন চৌধুরী বাবর, বিএলএ ইউকের প্রাক্তন সভাপতি ব্যারিষ্টার এম কিউ হাসান এবং ব্যারিষ্টার নিজামুল হকের উপস্থিতি ছিলো অন্যতম আকর্ষণ। প্রাক্তন সেক্রেটারীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার কামরুল হাসান, এডভোকেট শিবলী সাদিক এবং ব্যারিষ্টার মনির চৌধুরী।
জানা গেছে, ২০২০ থেকে স্থবির এই সংগঠনটি ২০২২-২০২৩ সেশনে হঠাৎ বেশ সরব হয়ে উঠেছে এবং এ পরিবর্তনের পেছনে অগ্রজদের পাশাপাশি অনুজদের ভূমিকা ও ছিল মূখ্য। সামার ট্রিপে ও অনুজরা তার স্বাক্ষর রেখেছে। লন্ডন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টার এ যাত্রা ডে-ট্রিপের জন্য অসম্ভব মনে হলেও এবারের তরুণ কার্যকরী কমিটির বলিষ্ঠ পরিকল্পনার কারণে এটি সম্ভব হয়ে উঠেছে। ট্রেজারার এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলামের দক্ষ এবং মেধাবী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ছিল বলতে গেলে স্বার্থকতার মূল রহস্য।
এডভোকেট জুবাইদা আঁখির সহযোগীতায় সহ-সভাপতি এডভোকেট মাহমুদা চৌধুরীর ব্যতিক্রমী এবং সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট পরিবেশনার ফলে অনুষ্ঠানটি শুরু থেকেই জমে উঠেছিল। এর পরপরই বিএলএ ইউকে পারফরমাররা মেতে উঠেন সুরে আর ছন্দে এবং সমগ্র যাত্রাটিকে করে তোলেন নান্দনিক। চমৎকার কবিতা আবৃত্তি করেন ব্যারিস্টার এমকিউ হাসান এবং ব্যারিষ্টার মিজানুর রহমান। ফাউন্ডিং প্রেসিডেন্ট নাজির উদ্দীন চৌধুরী, এসবিবিএস এর প্রাক্তন সভাপতি ব্যারিষ্টার এহসানুল হক, এডভোকেট খাদিজা আহম্মেদ বন্যা, এডভোকেট কবির, ব্যারিষ্টার চঞ্চল এবং ব্যারিষ্টার বেলায়েত হোসেনের রসালো কৌতুক আর ব্যারিষ্টার নিজামুল হক, ব্যারিষ্টার এমকিউ হাসান, ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান, ব্যারিস্টার তানিয়া, সেক্রেটারি যুগল ব্যারিষ্টার হারুন এবং নাসরিন, ব্যারিস্টার মনির চৌধুরী, মিসেস শামীমা, মিসেস সিম্বা, এডভোকেট সোনিয়া এবং এডভোকেট সবুজের গানে বাসগুলি মুখরিত থাকে সমগ্র যাত্রাব্যাপি। সময়ের স্বল্পতা সত্ত্বেও দুপুরের আয়েশি-ভোজনের সিদ্ধান্তটা ছিল সত্যি সাহসী। পাশাপাশি, জয়েন্ট সেক্রেটারি ব্যারিষ্টার আশিকুর রহমান, এডভোকেট হামিম এবং এডভোকেট জয়দেব এর অনবদ্য রেফল ড্র সঞ্চালনা এবং এন্টারটেইনমেন্ট বক্সের অনর্গল স্তূতি কাব্য অনুষ্ঠানটিকে নিয়ে গিয়েছে অন্য মাত্রায়।
ব্যারিষ্টার আশিক এবং এডভোকেট মুজাহিদ বাচ্চাদের কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেন এবং ব্যারিষ্টার নাজির উদ্দীন চৌধুরী বাবর, ব্যারিষ্টার এমকিউ হাসান এবং ব্যারিষ্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান কে নিয়ে একটি প্যানেল তৈরী করা হয় যারা এই কুইজ প্রতিযোগীতা পরিচালনা করেন। ১০ বছরের অধিক বয়সীদের কুইজ প্রতিযোগীতায় মেগহান এবং আডরিড যৌথ ভাবে এওয়ার্ড পায়। আর ১০ বছরের নীচের কুইজ প্রতিযোগীতায় রাজধান এবং আরিসা যৌথভাবে এওয়ার্ড পায়। বন্যা , মুনা, আফরোজাসহ অন্যান্য সবাই পুরস্কার বিতরন করেন। ভেন্টনর বিচে বিএলএ ইউকে র সদস্যরা ইংলিশ চ্যানেলে স্নান করেন। ‘সুইমিং ফর ক্যাম্পেইনার’ এর ব্যারিষ্টার এমকিউ হাসানের ইংলিশ চ্যানেলে সুইমিং সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে সঙ্গে ছিলেন ব্যারিষ্টার নিজামুল হক এবং ব্যারিষ্টার মিজানুর রহমান।
ট্রিপে অংশগ্রহণকারী অন্যদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিষ্টার নাসের আলম, এডভোকেট সাজ্জাদ, ব্যারিষ্টার সুলতান আহমেদ, ব্যারিষ্টার আওলাদ শিকদার, ব্যারিষ্টার আমেনা হক, এডভোকেট আজিজ, ব্যারিস্টার পপি, ব্যারিষ্টার মাহবুব, ব্যারিষ্টার মামুন ফিরোজী, ব্যারিস্টার রূপক, এডভোকেট ফাতেমা রুনা, এডভোকেট ইউসুফ ইকবাল, এডভোকেট হাবিবুল্লাহ, এডভোকেট শবনম, এডভোকেট শরীফ, ব্যারিষ্টার হুমায়ুন, এডভোকেট তোহা, এডভোকেট ইয়াহিয়া, এডভোকেট অন্তরা, এবং এডভোকেট রুমেলিয়া (ম্যাজিস্ট্রেট, বিচার বিভাগ)। এ ট্রিপে আরো অংশ নিয়েছেন সুদূর ঢাকা থেকে আগত এডভোকেট সবুজ (বিচার মন্ত্রণালয়) এবং এডভোকেট শাফায়াত (বিচার মন্ত্রণালয়)। যাত্রাটির প্রাথমিক গন্তব্য ছিল নীডলস্। সেখানে ক্যাবল কার এবং বোটিং সহ বিভিন্ন ধরনের একটিভিটি দিয়ে শুরু করে সর্বশেষ গন্তব্য ভেন্টনর বিচে চলে যায় বাসগুলি। সমুদ্র স্নান আর সাগরবেলায় পা ভেজাতে সবাই মেতে ওঠেন আনন্দে। দীর্ঘ সুইমিং শেষে লন্ডনের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা করে বিএলএ ইউকে কাফেলা। ফেরীতে উঠতেই দেখা গেলো রোমান্টিক বিএলএ যুগলরা ডেক থেকে অস্তগামী সূর্যের আলোকচিত্রে মেতে উঠেন। অপূর্ব ছিল এল আঁধারির এ দৃশ্যগুলি। রাতের খাবার সেরেই আবার আনন্দ ধারায় ফিরে আসে সবাই নিজ নিজ বাসে। রেফল ড্র এবং কুইজ প্রতিযোগিতা শেষে বাস থেকে নামার পর বিশেষ মিষ্টান্ন বিতরণের মাধ্যমে সেক্রেটারি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি