টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদকের অপরাধে ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত, বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০২৩
![](https://www.weeklydesh.co.uk/files/uploads/2023/10/Jorimna-1024x682.jpg)
Wythenshawe, Manchester – 10th Sept 2019 Male arrested by the police and put into handcuffs during a police raid,
একটি জটিল অভিযানের পর টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অপারেশন কন্টিনিউম নামের মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদক ব্যবসা, মাদকের ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে বিশেষ এই অভিযানটি আমাদের ও পুলিশের যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
সাম্প্রতিক তদন্তের ফলস্বরূপ, স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টে মাদক অপরাধের জন্য যে ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দণ্ড দেয়া হয়েছে, তারা হলোঃ আবু তাহের, অ্যারো রোড, ই৩ ৯ বছর জেল দণ্ড; রিয়াজ হোসেন, চেরিউড ক্লোজ, ই৩ ৮ বছর জেল; মহিদ আলী, চিপিং রো, স্এিম৩ ৫ বছর, ৩ মাসের জেলদণ্ড; সেন্ট লিওনার্ডস স্ট্রিটের (ই৩) নাজির হোসেন পাঁচ বছর, আট মাস; ট্রুম্যান ওয়াকের (ই৩) মোহাম্মদ মিনানুর রহমান, ছয় বছরের জেল দণ্ড; আরএম ৮ এর লংব্রিজ রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহ রহমান তিন বছর, সাত মাস; বেন জনসন রোডের (ই১) আলী আকবর হোসেন দুই বছর; আরএম ৯ এর সিঙ্গেলটন রোডের মোহাম্মদ হাসান তিন বছর, আট মাস, ই ৩ এর বো রোডের নাইম সামি পাঁচ বছর, ছয় মাস; অ্যালেন রোডের (ই ৩) শুহেব মিয়া — দুই বছর, আট মাস এবং ড্রাইভিং এর জন্য অযোগ্য দুই বছর, ছয় মাস; ই ৩ এর বলিংগার পয়েন্টের মোহাম্মদ ইমরান আলী — ২০ সপ্তাহের কারাদণ্ড; ই১৫ এর ওলফি গার্ডেন্স এর সৈয়দ আহমেদ — ১৫ মাস, দুই বছরের জন্য সাসপেন্ডেড দন্ড; ই ১৪ এর পপলার হাই স্ট্রিটের আবদুল্লাহ আল—হুদা — ২৩ মাসের জেল দণ্ড, যা ২৪ মাসের জন্য স্থগিত; আইজি১১ এর ক্রানলি গার্ডেন্স এর মাহিদুর রহমান — দুই বছর, ২৪ মাসের জন্য স্থগিত দন্ড।
এ/ডিআই স্যাম লাইভসি বলেছেন, সেন্ট্রাল ইস্ট পুলিশ সহিংসতা দ্বারা প্রভাবিত যুবকদের সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সহিংস অপরাধের সাথে মাদক সরবরাহের বিয়য়টি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত? আমরা গোটা লন্ডন থেকে আসা নানা কমিউনিট এবং অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব, এবং আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা ভারসাম্য বজায় রাখব।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, আমরা জানি যে মাদক আমাদের কমিউনিটিকে কিভাবে ধ্বংস করে এবং গুরুতর সহিংসতার দিকে পরিচালিত করে। তাই আমরা এই ব্যবসার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসকে বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ এবং সুখী জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের এই বারা এবং এর বাইরে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।
কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী বলেছেন, অপারেশন কন্টিনিউম একটি অত্যন্ত সফল উদ্যোগ হিসাবে প্রমাণিত এবং মধ্য পূর্ব বিসিইউ এর মধ্যে মাদকের সরবরাহ দমনে গুরুত্বপূর্ণ। মাদক গুলি সহিংস অপরাধের উচ্চ অনুপাতের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, এবং তাই আমরা অপরাধীদের টার্গেট করা চালিয়ে যাব, পুলিশের সহকর্মীদের সাথে যৌথভাবে কাজ করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি