বৃটেনে হিযবুত তাহরীরের উদ্যোগে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৩
বৃটেনে হিযবুত তাহরীর টাওয়ার হ্যামলেটসের সদস্যদের উদ্যোগে‘লিবারেট প্যালেস্টাইন: ইয়েস উই ক্যান’ শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে। গত রবিবার ২২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য পেশ করেন হিযবুত তাহরীর বৃটেনের সদস্য ব্যারিস্টার করিম আবু যায়েদ এবং জনাব নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন হিযবুত তাহরীর বৃটেনের সদস্য লিয়াকত সরকার। অনুষ্ঠানটিতে অধ্যাপক আব্দুল কাদির সালিহ, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান সহ টাওয়ার হ্যামলেটসের অনেক বিশেষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূলত বর্তমানে ফিলিস্তিনের উপর চলমান আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যারিস্টার করিম আবু যায়েদের বক্তব্যে ফুটে উঠে কিভাবে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শাসকদের সমর্থনে যায়নিস্ট সত্বা দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনকে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা এই দীর্ঘ সময় ধরে নির্মম নিপীড়ন, অবরোধ, অপহরণ এবং হত্যার শিকার হয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, সমগ্র মুসলিম সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসতে হবে যায়নিস্ট সত্তার এই জুলম থেকে আমাদের ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাই বোনদের রক্ষা করতে।
সেমিনারের সঞ্চালক লিয়াকত সরকার সবাইকে হাদীসের বাণী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মুসলিম উম্মাহ এক শরীরের মত, শরীরের এক অঙ্গ আহত হলে পুরো শরীরে এর ব্যাথা অনুভব হয়। অবৈধ দখলদারদের নিপীড়ন থেকে মুসলিম উম্মাহকে বাঁচাতে মুসলিম সেনাবাহিনীকে এগিয়ে আসা ব্যতীত এই দীর্ঘ চলমান সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান নেই।
পবিত্র কুরআনের আয়াত থেকে তিনি বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করে দিবেন। (৪৭:৭)
সেমিনারে ব্যারিস্টার করিম আবু যায়েদ বলেন, সাম্প্রতিক কালে মুসলিম শাসকদের নির্ল্লজ্জভাবে একে একে অবৈধ যায়নিস্ট রাস্ট্রের সাথে সম্পর্ক জোরদারের প্রক্রিয়া আসলে ফিলিস্তিন ও পবিত্র ভূমির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর। তিনি বলেন, মুসলিম সেনাবাহিনী মুসলিম জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য চুক্তিবদ্ধ ও তা তাদের ঈমানী দায়িত্ব। মুসলিম সেনাবাহিনীকে এই অঞ্চল থেকে সমস্ত পশ্চিমা মদদপুষ্ট দালাল শাসকদের উৎখাত করতে ও ফিলিস্তিন মুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। মুসলিম শাসক যারা অবৈধ যায়নিস্ট রাস্ট্রের বড় রক্ষক, তাদেরকে উৎখাত করে নবুওয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীনকে নুসরাহ দেয়ার দায়িত্বের কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।। তিনি বলেন, তবেই আরো একবার সমগ্র বিশ্বে চির শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়া সম্ভব।
হিযবুত তাহরীর, ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে নজরুল ইসলাম আলেম উলামাদের প্রতি একটি বিশেষ বার্তা পাঠ করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি