ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের বাংলাদেশী কমিউনিটির অত্যন্ত প্রিয়মুখ বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া কমিউনিটির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় আমেরিকার স্বনামধন্য বিশ^বিদ্যালয় ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মাননা ডিগ্রী পেয়েছেন।
গত ২৪ অক্টোবর সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি বিলাস বহুল হোটেলের বলরুমে বৃটেনের মূলধারার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক আড়ম্ভরপূর্ণ অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে ইউনাইটেড ন্যাশন গ্লোবাল পিস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডঃ বারাকা বেরসা আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুর রশীদ ভূঁইয়াকে ডক্টরেট খেতাবে ভূষিত করে সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া ইতিমধ্যে কমিউনিটির উন্নয়নে ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের সম্মানসূচক সলিহোল সিভিক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ষাটের দশকের শুরু থেকে বার্মিংহামে বসবাস করা আব্দুর রশীদ ভূইয়া বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত থেকে কমিউনিটির মানুষদের জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তাঁর স্বীয় মেধা-মনন আর কর্মস্পৃহায় কমিউনিটির একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ১৯৮২ সাল থেকে আজ অবধি বার্মিংহাম বাংলাদেশ সেন্টারের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করে থাকা আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসের একজন সংগঠক হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে নানা আন্দোলন সংগ্রামসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে অত্যন্ত সরব ছিলেন। ১৯৯৩-৯৪ সালে ইউরোপিয়ান মাইগ্রেন্ট ফোরামের সদস্য হিসেবে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে প্রতিনিধিত্ব করা এই র্কীতিমান বাঙালী নিজের কর্মকান্ডকে শুধুমাত্র স্বীয় কমিউনিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বৃটিশ কমিউনিটির উন্নয়নেও নানাভাবে কাজ করেছেন।
স্থানীয় মেম্বার অব পুলিশ কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া লেবার পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে একসময় অনেক বাঘা বাঘা প্রার্থীর ক্যাম্পেইনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন, যখন বাঙালী তো দূরের কথা সংখ্যালঘু কমিউনিটির অনেকেরই মূলধারার রাজনীতিতে অবস্থান ছিলো না। তিনি কাসল ব্রমউইচ ও হজ্বহীল ওয়ার্ডের লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান থাকা ছাড়াও কাসল ব্রমউইচ প্যারিস কাউন্সিলের স্ট্যন্ডিং কাউন্সিলর হিসেবে ২০০৩ থেকে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে তিনি ২০১২/১৩ সালে চেয়ার অব দ্যা কাউন্সিলেরও দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে পর্যন্ত সর্টলী এডার্লী প্রাইমারী স্কুলের গর্ভনরও।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সহ-সভাপতি তিন সন্তানের জনক আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া মানবতার জন্য কাজ করার প্রয়াসে স্ব-উদ্যোগে প্রবাসের পাশাপাশি দেশেও অবদান রাখছেন। তিনি প্রায় আড়াই দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশে অসহায় দরিদ্র পঙ্গুদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ভেলোরি টেইলর ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছেন। এক ছেলে ও দুই মেয়ের গর্বিত পিতা আব্দুর রশীদ ভূঁইয়ার সন্তানেরাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উচ্চ পদে আসীন রয়েছে। সিলেট পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করে ১৯৬৩ সালে ব্রিটেনে পাড়ি দেওয়া আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া কুমিল্লার বড়ুরা উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি তাঁর এই সাফল্যে স্ত্রী মিসেস নাজিয়া রশীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা না করলে কমিউনিটির জন্য কাজ করা কঠিন হতো।
ভালো শিক্ষা অর্জন জীবনের জন্য অপরিহার্য হিসেবে মনে করা বাঙালীদের অহংকার এই গুণী ব্যক্তিটি ভবিষ্যতেও কমিউনিটির উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি