আল-মিজান স্কুল ও লন্ডন ইস্ট একাডেমির ১৩তম হুফফাজ গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ১৪ হাফিজকে সনদ প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইস্ট লন্ডন মস্ক পরিচালিত আল-মিজান স্কল এন্ড লন্ডন ইস্ট একাডেমি থেকে এ বছর ১৪জন শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছেন । এ নিয়ে গত ১৮ বছরে ১১১ জন শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করলেন । হিফজ সম্পন্নকারী ছাত্রদের নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারের নিচতলায় অনুষ্ঠিত হয় ১৩তম বার্ষিক হুফফাজ গ্রাজুয়েশন সিরিমনি । অনুষ্ঠানে হাফিজদের পাগড়ি পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি উপহার সাসগ্রী তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতীব শায়খ আব্দুল কাইয়ূম, ট্রেজারার সৈয়দ তুহেল আহমদ, সিইও জুনায়েদ আহমদ, লন্ডন ইস্ট একাডেমির প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ বদর ও গভর্ণিং বডির চেয়ারম্যান হোসাইন শিপার।
সনদপ্রাপ্ত ১৪ হাফিজ হলেন- ইয়ার সিক্স এর ছাত্র বিন-ইয়ামিন, ইয়ার সেভেন-এর ছাত্র ওসমান আহমদ ও ওমার আব্দুল্লাহ আলী, ইয়ার এইট এর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মাহদী, মোহাম্মদ খলিল, মোহাম্মদ প্যাটেল ও মোহাম্মদ আলম, ইয়ার নাইন- এর ছাত্র তৌহিদ নূর চৌধুরী ও আয়ান রাহিন আহমদ, ইয়ার টেন এর ছাত্র তালহা রহমান, ইয়ার এলেভেন এর ছাত্র ইকরাম খায়ের ও রিদওয়ান রহমান এবং ইয়ার টুয়েলভ এর ছাত্র জায়েদ আহমদ জামান ও মুয়াজ আলী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যারা হাফিজ হলেন তাদের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের, কারণ তারা পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে একটি বিশাল কাজ সম্পন্ন করেছেন। বক্তারা ছাত্রদেরকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, তোমরা প্রতিদিনই এমন কিছু করবে যাতে তোমাদের মা-বাবা গর্ববোধ করেন । আর মা-বাবাও এমন কিছু করবেন যা সন্তানদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয় । তাঁরা বলেন, কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে ছাত্ররা একটি বিশাল সম্পদ অর্জন করলো। এখন এই সম্পদ ধরে রাখতে কঠোর অধ্যাবসায় প্রয়োজন । মনে রাখতে হবে, কোনো কিছু অর্জন যতটা কঠিন, তা ধরে রাখা আরো কঠিন । বক্তারা অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উস্তাদ মুহাম্মদ বদর বলেন, সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্থ করা সহজ নয়। এর জন্য কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি অভিভাবকের উৎসাহ এবং শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা প্রয়োজন। আজ আমরা এব কিছুর সমন্বয়ে হাফিজদের সাফল্য উদযাপন করছি।
এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিপুর্বে হাফিজ হওয়া অনেক ছাত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন । তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইসলামিক সোসইটিতে কিংবা স্থানীয় মসজিদে ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন । আজ যারা গ্রাজুয়েট হলেন তাদের সামনেও উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে । সংবাদ বিজ্ঞপ্তি