লুটনে গ্রেটার সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারী মঙ্গলবার লুটনের ব্যারিপার্ক রোডস্থ একটি রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিষেক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কার্যনিবার্হী কমিটির সভাপতি খুররাম শফিক চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ রুবেল। শুরুতে আল-কোরান তেলাওয়াত করা হয়। আগত অতিথিদেরকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি খুররাম শফিক চৌধুরী।
পরে অনুষ্ঠানের মূল পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়। কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ কার্যনির্বাহী কমিটিকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় বরেণ্য ব্যক্তিত্ব আবুল হোসেন, সভাপতি ব্যারিপার্ক মসজিদ,মনসুর আহমেদ খান সিনিয় সহ-সভাপতি জালালাবাদ জামে মসজিদ, মোস্তফা মিয়া সভাপতি ফার্লহিল জামে মসজিদ আবুল কাশেম সাধারণ সম্পাদক জালালাবাদ জামে মসজিদ, শরীফুর রহমান সহ সভাপতি হকোয়েল রিং মসজিদ ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক নেতা শামীম আহমেদ, কমিউনিটির বিশিষ্ট মুরব্বী সৈয়দ জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়া সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বক্তব্য রাখেন নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক নানু মিয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বেডফোর্ড শায়ারের কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আশরাফুজ্জামান আলী, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আব্দুল হান্নান চৌধুরী, লুটন বারা কাউন্সিলের কাউন্সিলর আজিজুল আম্বিয়া, সংগঠনটির সহ-সভাপতি আব্দুল মন্নান চৌধুরী, সহ-সভাপতি সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি এমদাদুল হক পাবেল বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব আব্দুর রশিদ বাবুল মিয়া, তাজ ইসলাম নিটু, আতাউর রহমান পাপ্পু, সংগঠনটির ট্রেজারার মিয়া মোহাম্মদ জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদ মানিক চৌধুরী , মোঃ নুরুল গণি, আব্দুল হাই, মাষ্টার আশরাফ উদ্দিন, আবুল কালাম, মোঃ ফারুক মিয়া, ইফতেখার আলম, মাসুদুর রহমান মাসুদ, মৌলানা ফরিদ উদ্দিন, অনুপম রহমান রাজিব ও আব্দুস সহিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ বলেন, ‘খুব পরিতাপের বিষয় হলো বৃটেনের মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটিগুলোতে বাংলা ভাষা শিখার কোনো সুযোগ নেই। যার ফলশ্রুতিতে তরুণ প্রজন্ম বাংলা ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারেনা। ধীরে ধীরে ওদের কাছ থেকে বাংলা ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের ইউনেস্কো বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বৃটিশ সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে কমিউনিটি ভাষা শিক্ষার কার্যক্রম চালু করার কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করছে না। তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় বাঙালি বংশদ্ভূত বৃটিশ এমপিরাও এনিয়ে বৃটিশ পার্লামেন্টে জোরালো দাবি করছেন না। লুটন কাউন্সিলে ৬ জন বাংলাদেশী কাউন্সিলর কাউন্সিলের শিক্ষা বাজেটে কমিউনিটি ভাষা শিক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ করার জোর দাবি উত্থাপন করেছেন না? মসজিদ-মাদ্রাসায় ইসলামি শিক্ষা ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি মাতৃভাষা বাংলা শিক্ষা চালু করার জন্য মসজিদ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেক্রেটারির কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

পরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমদ রুবেল সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির ৬৪ জনের নাম-পরিচয় তুলে ধরেন। পরিশেষে বিশ্বের শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা সাহিদ আহমদ। পরে অনুষ্ঠানে আগত বিশেষ অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি