জকিগঞ্জের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কমর উদ্দিন চৌধুরী পাপলু বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি নির্বাচিত হওয়ায় গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে পূর্ব লন্ডনের একটি হলে ইউকে বসবাসকারী জকিগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
এতে বিশিষ্ট মুরব্বি মোঃ হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার জাহেদ বকত চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যবসায়ী পাপলু ভাই বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে অভিন্দন জানাচ্ছি। তিনি হচ্ছেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, কাউন্সিলের ইকোনিমিক ও মানুষের চাকুরীর প্লাটফর্ম তৈরি করে তিনি যে অবদান রেখেছেন, এজন্য আমরা গর্ববোধ করি।
মাওলানা মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ এর পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ আলবাব হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব শামীম শাহান ? সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই ইউকের সাবেক সভাপতি বশির আহমদ, জিএসির ইউকের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আতাউর রহমান, দারুল হাদিস লতিফিয়া লন্ডনের প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, সিলেট সীমান্তিক বি এড কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ আব্দুর রউফ তাপাদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ গোলাম জিলানী, চ্যানেল এস এর সিইও তাজ চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের, ডেপুটি স্পীকার ব্যারিষ্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ, কাউন্সিলার কবির আহমদ, সাইদ আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজ হক, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার মোঃ আহবাব হোসেন, মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ ইনপ্রোটার অ্যাসোসিয়েশন ইউকের প্রেসিডেন্ট রফিক হায়দার, ব্যরিস্টার কালাম চৌধুরী, কৃষিবীদ নিজাম উদ্দিন, লন্ডন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ এহছানুল হক, ডাঃ এনায়েত হোসেন চৌধুরী পিন্টু, আব্দুল মোহাইমিন উনু, কবি মিজানুর রহমান মিরু, কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান চৌধুরী, একে এম মাছুম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ইমন, মাওলানা মোছলেহ উদ্দিন, হাসনাত চৌধুরী, মোঃ রুহুল আমিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিবিসিআই এর সভাপতি সাইদুর রহমান রেনু বলেন, কমর উদ্দিন পাপুল ভাই বাংলাদেশ সরকারক থেকে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন, এটা বৃটিশ বাংলাদেশীদের জন্য গৌরবের। এটা উনার পাপ্য ছিলো। সরকার যে ভাবে কাজের মূল্যায়ন করেছে, আমরাও একই ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পাপুল ভাই শুধু ব্যবসায়ী না, উনি একজন দানবীর ও সমাজসেবী। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি সাধারণ কৃষকদের নায্য পাওনা পরিশোধে অন্যন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
টাওয়াল হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আয়াছ আলী বলেন, পাপলু ভাই একজন প্রচার বিমুখ মানুষ। তার এই প্রাপ্তিতে আমরা গর্ববোধ করি। তিনি সিআইপি নিতে চাননি, বন্ধু-বান্ধবের কথায় তিনি এটা গ্রহন করতে রাজি হয়েছেন। তিনি শুধু রেমিডেন্স যুদ্ধা নয়, বাংলাদেশ কর্মসংস্থানে বিরাট অবদান রেখে চলেছেন। তিনি আমাদের জন্য মডেল।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সিআইপি নির্বাচিত হওয়া কমর উদ্দিন পাপলু বলেন, আমি এ পর্যায়ে আসতে আমার সময় লেগেছে বিশ বছর। আমার দীর্ঘ জার্নি ও সম্মান পাওয়ার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে আমি এই প্রাপ্তির দিনে তাদেরকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি তাদেরকে আমার এই সিআইপি অ্যাওয়ার্ড উৎসর্গ করছি। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বানিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমার সিআইপি অর্জনের পেছনে সকলের সহযোগিতা রয়েছে। আমার এই প্রাপ্তি দেখে বৃটেনের ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হয়ে বাংলাদেশের সাথে আরো ব্যবসা সম্প্রসারিত করবেন, যার ফলে বাংলাদেশ ও বৃটেন প্রবাসীরা লাভবান হবেন। একই সাথে আয়োজন কারী জকিগঞ্জবাসীসহ অনুষ্ঠানে আসা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় জকিগঞ্জ, দারুল হাদিস লতিফিয়া ও জগন্নাথপুর বাসীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে সংবর্ধিত অতিথিকে বরণ করা হয় এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় ? সভা শেষে সংবর্ধিত অতিথির মা-বাবাসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।