পর্তুগালে বাংলা কাগজ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পর্তুগালের লিসবনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলা কাগজ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৫ জন বাংলাদেশী। তন্মেধ্যে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদান রাখায় বাংলা কাগজ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন। সম্প্রতি লিসবনের এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
এ সময় সাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং স্কটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার ফয়সাল চৌধুরী ও বার্মিংহাম বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম উদ্দিন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের মরহুম হাজী ছাদ উদ্দিনের বড় ছেলে।
সেলিম উদ্দিন ২০০৬ সালে ফ্রান্সে থাকাবস্থায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি পর্তুগালে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি সাংবাদিকতাকে আঁকড়ে ধরেন। কাজ শুরু করেন বাংলা টিভির প্রতিনিধি হিসেবে। তখন বাঙালী কমিউনিটির নানা সংবাদ সংগ্রহে তিনি পর্তুগালের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলতেন। সেসময় পর্তুগালে বাঙালীদের মধ্যে কেউ গণমাধ্যমের সাথে ততটা সম্পৃক্ত ছিলেন না। ওই সময় সেলিম উদ্দিনের উৎসাহে পর্তুগালে বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী সাংবাদিকতায় যুক্ত হন।
সেলিম উদ্দিন শুধু সাংবাদিকতা-ই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কমিউনিটির উন্নয়নেও নানাভাবে কাজ করেছেন। পর্তুগালের তৎকালীন বাংলাদেশী রাষ্টদূত ইমতিয়াজ আহমদের সহযোগিতায় লিসবনের স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তিনি লিসবনের মেয়রের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেন। পরবর্তীতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। এছাড়া পর্তুগালে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপনে সেলিম উদ্দিন পর্তুগালের বাঙালী নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বাংলাদেশের পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চমহলে লবিং করেন। ২০১৭ সালে অবৈধ অভিবাসীদের ধর-পাকড়ের সময় পর্তুগালের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন। পাশাপশি পর্তুগালের রাষ্ট্রপতিকে পত্র দিয়ে তাঁর সাথে সরাসরি সাক্ষাত করে অভিবাসীদের বিভিন্ন বিষয়াদি উপস্থাপন করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি সেলিম বিভিন্ন সময় পর্তুগালের প্রবাসী বাঙালী শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিজয় ফুল কর্মসূচি ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন। গণমাধ্যমকর্মী হয়েও কমিউনিটির সেবায় অনন্য অবদান রেখে রীতিমতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সিনিয়র এই সাংবাদিক। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি