কমলগঞ্জ সমিতি ইউকের উদ্যোগে অবসরপ্রাপ্ত দুই গুণী শিক্ষককে সংবর্ধনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২৪
যুক্তরাজ্যে সফররত কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীন শিক্ষক আব্দুল করিম মনির ও শিক্ষক আকমল খানকে কমলগঞ্জ সমিতি ইউকে সমিতি সংবর্ধনা প্রদান করেছে। গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকাল ৭টায় পূর্ব লণ্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের কেমব্রিজ হিথ রোডস্থ রেস্তোরায় এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সভায় সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আই রাসেল, খলিলুর রহমান রুকন ও ফখর উদ্দিনের যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কে এম আবু তাহের চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক সিভিক মেয়র সেলিম উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী মনির খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, সাবেক ডেপুটি মেয়র শহীদ আলী, লেখক শাহীন রশিদ, হাফিজ এমডি জিলু খান, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, আহমদ ফখর কামাল, মইনুল হক খান, নাছির উদ্দিন, ডাঃ মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাঃ গিয়াস উদ্দিন আহমদ, ব্যাংকার সৈয়দ সুহেল আহমদ, আঙ্গুর আলী , এম এ সালাম, সুহেল আহমদ প্রমুখ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন -তাজবির চৌধুরী শিমুল, ফখর উদ্দিন, মাহমুদ হোসেন তুহিন, ইন্জিনিয়ার আবু বকর সিদ্দিক তুহীন, মিসেস জেসমিন ফেরদৌসি, বাবু রতন কর, শওকত খান ,আঙ্গুর আলী, ফজির আলী নাদিম, আলাউর রহমান খান শাহীন, আব্দুল মোতালিব লিটন প্রমুখ।
সভার প্রধান অতিথি কে এম আবু তাহের চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে কমলগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি ১৯৭৮ সালে বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুল নুর ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন ও সিলেটের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
সভায় বক্তারা সংবর্ধিত দুইজন গুণী শিক্ষককের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুল ধরে তাদের ভুঁয়শী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি শিক্ষক আব্দুল করিম মনির বলেন, বিলেত এসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামাজিকতা, ভদ্রতা, আন্তরিকতা ও ভালবাসা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। শিক্ষক আকমল খান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশ প্রেম ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে সবাইকে শমসেরনগর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শিল্পী মনির খান বলেন, একজন শিক্ষকের কোনো মৃত্যু নেই। তারা মানুষ গড়ার কারিগর। কর্মের মাধ্যমেই তারা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সাবেক মেয়র সেলিম উল্লাহ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আমাদের সন্তানদের বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতির সাথে পরিচয় করে দিতে হবে।
সভাপতি অধ্যক্ষ ফখর উদ্দিন চৌধুরী তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও সংবর্ধিত দুই শিক্ষকের দীর্ঘায়ু কামনা করেন । সংবাদ বিজ্ঞপ্তি