যুদ্ধাপরাধী মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে মামলা চালানোর সুযোগ পেলেন
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৪
দেশ ডেস্ক:: যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর সুযোগ পেলেন ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকা আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে চার বছর আগে ওই মামলা দায়ের করেছিলেন মুঈনুদ্দীন। কিন্তু দেশটির হাই কোর্ট সেই মামলা বাতিল করে দিয়েছিল। এখন মুঈনুদ্দীনের আপিল গ্রহণ করে হাই কোর্টের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট (প্রধান বিচারপতি) লর্ড রিড বৃহস্পতিবার সর্বসম্মত এক রায়ে বলেন, ‘আদালতের কার্যপ্রণালির অপব্যবহারের’ কারণ দেখিয়ে মুঈনুদ্দীনের করা মামলা খারিজ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মুঈনুদ্দীন যে অভিযোগ নিয়ে আদালতে এসেছেন, তার বিচার চলবে।
রায়ের অনুলিপি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মামলার পূর্বাপর বর্ণনা রয়েছে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৩ সালে মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর ছয় বছর পর ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজমের তৈরি ‘চ্যালেঞ্জিং হেইটফুল এক্সট্রিমিজম’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনের পাদটীকায় বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মুঈনুদ্দীনের দণ্ডিত হওয়া এবং একাত্তরে তার যুদ্ধাপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয়। তার নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার বর্ণনাও সেখানে যুক্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার (বর্তমান এক্স) হ্যান্ডেল থেকে প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, বিবিসির সাংবাদিক মিশাল হুসেইন, মানবাধিকার কর্মী পিটার ট্যাটচেলসহ অনেকেই তা রিটুইট করেন।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে অনলাইন থেকে প্রতিবেদনটি তুলে নেওয়ার দাবি তুলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন যুদ্ধাপরাধী মুঈনুদ্দীন। তবে তাতে সাড়া দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জুন মামলা করেন মুঈনুদ্দীন। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এনে যুক্তরাজ্যের ডেটা সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং তাতে ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষণ্ণ ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন একাত্তরের এই আল-বদর নেতা। সেখানে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।