যুক্তরাজ্যে নির্বাচন: ভরাডুবি হবে টোরিদের, হেরে যাবেন সুনাকও
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৪
দেশ ডেস্ক:: যুক্তরাজ্যের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঋষি সুনাক হতে যাচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী, যিনি নিজ আসনে হারতে যাচ্ছেন। তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি আসন পেতে যাচ্ছে মাত্র ৫৩টি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের তত্ত্বাবধানে মতামত জরিপে বিস্ফোরক এসব পূর্বাভাস উঠে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এর তথ্য অনুযায়ী, আসন সংখ্যার হিসাবে টোরিদের ঠিক পেছনেই আছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা। তারা অন্তত ৫০ আসনে জয়ী হতে পারে। এ হিসাবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান বিরোধী দল হওয়ার কাছাকাছি অবস্থানে থাকবে।
নির্বাচনে ৬৫০ আসনের হাউস অব কমন্সে লেবার পার্টি ৫১৬টিতে জয় পেতে পারে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ৩৮২ আসনের। এমনটা হলে তা হবে ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের বিজয়ের চেয়ে দ্বিগুণ। আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে লেবার নেতা কেইর স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনে নাইজেল ফারাজের রিফর্ম পার্টি কোনো আসন পাবে না। সম্প্রতি আবারও দলটির হাল ধরেন তিনি। এবার হারলে এটা হবে সংসদ সদস্য হতে চাওয়া ফারাজের টানা অষ্টম হার। ব্রেক্সিট নিয়ে সরব হয়ে রাজনৈতিক মাঠে আলোচনায় এসেছিলেন এই ফারাজ।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি বা এসএনপি মাত্র আটটি আসনে জয়ী হবে। ২০১৯ সালে তারা ৪৮ আসনে জয় পেয়েছিল। লেবার পার্টি আবারও স্কটল্যান্ডে প্রধান দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। টনি ব্লেয়ারের সময় দলটি স্কটল্যান্ডে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।
দ্য টেলিগ্রাফের হয়ে জরিপ সংস্থা সাভান্তা জরিপটি পরিচালনা করে। ৭ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ১৮ হাজার ব্রিটিশ জনগণের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে প্রথমবারের মতো লেবার পার্টি পাঁচ শতাধিক আসন পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে টোরিরা একেবারে কম আসন পাবে বলেও পূর্বাভাসে উঠে এসেছে।
সাধারণভাবে যে সংখ্যক লোকজনের সাক্ষাৎকার বা মতামত নিয়ে জরিপ করা হয়, এ ক্ষেত্রে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। এতে ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘মাল্টিলেভেল রিগ্রেসন’ পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছে; অন্তত ১০০টির মতো আসনে কম ভোটের ব্যবধানে বিজয় দেখানো হয়েছে। এ কারণে টোরিদের ভোটের হারে সামান্য অগ্রগতি বড় ধরনের ব্যবধান তৈরি করতে পারে। তবে এতে লেবারদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকি কম।
পূর্বাভাস সত্য হলে আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাজ্যের সংসদ নির্বাচনে বড় হার দেখতে যাচ্ছে ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা রক্ষণশীলরা। সেই সঙ্গে প্রায় দেড় যুগ পর ক্ষমতায় ফিরছে লেবাররা।