আবারও রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা, সীমান্তে কড়া নজরদারি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দেশ ডেস্ক:: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আবারও রোহিঙ্গা ঢল সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যকার সংঘাত বৃদ্ধির জেরে এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্ভাব্য সেই ঢল ঠেকাতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি ও পাহারা বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক মাসে অন্তত ১৮ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘গত তিন মাসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং আমরা জানতে পেরেছি যে, আরও কয়েক হাজার (রোহিঙ্গা) প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। পরিস্থিতি রীতিমতো ভয়াবহ। তাই এখন সীমান্তে নজরদারি-প্রহরা বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনো উপায় আমাদের সামনে নেই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই পরিস্থিতি বেশ কঠিন। কারণ, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যদি তৎপর না থাকে তাহলে শুধু আমাদের পক্ষে এই দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা কঠিন। এত লোকবল ও রসদ আমাদের নেই।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অনেক রোহিঙ্গা মরিয়া হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পথ খুঁজছেন।’
যারা সম্প্রতি প্রবেশ করেছে এবং শরণার্থীশিবিরে বসবাস করছে তাদের নিবন্ধন করা হবে কি না সে বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও জানিয়েছেন—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা তাদের নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে বানের স্রোত প্রবেশ করার মতো একটি পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এটি এমন কিছু যা আমরা বহন করতে পারব না। আবার একই সময়ে, আমরা এই সমস্যাটি কতক্ষণ উপেক্ষা করতে পারব—সেইটা আসল প্রশ্ন।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে রোহিঙ্গাদের দ্রুত তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলছেন, পুনর্বাসনের অগ্রগতি খুব একটা নেই।