শেখ পরিবারসহ ১০ গ্রুপের দুর্নীতি তদন্তে ১১টি দল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
দেশ ডেস্ক:: ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার এবং আলোচিত ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে ১১টি তদন্ত দল গঠন করেছে সরকার। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর সমন্বয়ে গঠিত দলগুলোর সঙ্গে
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বৈঠক হয়েছে। সেখানে সমন্বিতভাবে তদন্তপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর নতুন প্রধান শাহিনুল ইসলাম, উপপ্রধান এ কে এম এহসান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, জাকির হোসেন চৌধুরী ও ড. কবির হোসেন।
সূত্র জানায়, এসব দল আলাদা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তদন্ত করবে। আগামী সপ্তাহ থেকে তদন্ত দলগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিস শুরু করবে।
শেখ হাসিনার পরিবার ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্টের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আরামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, সিকদার, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন ও নাবিল গ্ৰুপ। এসব গ্রুপের মালিক, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও তদন্তের আওতায় থাকবে বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তদন্ত দলগুলোকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন ও বিধিমালা মেনে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে হবে। অনুসন্ধান ও কার্যক্রমের তথ্যাদির গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা কঠোরভাবে রক্ষা করতে হবে। দলের প্রধানকে নিজ সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। যৌথ অনুসন্ধান দলের তদন্ত কার্যক্রম সমন্বয় করে তার অগ্রগতি ও পরবর্তী কার্যক্রম অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানাতে হবে।
গত ২ ডিসেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আলাদা চিঠির মাধ্যমে বিএফআইইউকে আইন ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ বিধিমালার আওতায় কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ তদন্তের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এরপর ৬ জানুয়ারি যৌথ তদন্তের নেতৃত্ব ও শর্ত চূড়ান্ত করা হয়।