আল-মিজান স্কুল ও লন্ডন ইস্ট একাডেমির ১৪তম হুফফাজ গ্রাজুয়েশন সিরিমনি : ৮ হাফিজকে সনদ প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
লন্ডন, ৩ জানুয়ারি ২০২৫: ইস্ট লন্ডন মস্ক পরিচালিত আল-মিজান স্কুল এন্ড লন্ডন ইস্ট একাডেমি থেকে এ বছর ৮জন শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছেন । এ নিয়ে গত ১৯ বছরে ১১৯ জন শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করলেন । হিফজ সম্পন্নকারী ছাত্রদের নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ১৪তম বার্ষিক হুফফাজ গ্রাজুয়েশন সিরিমনি । অনুষ্ঠানে হাফিজদের পাগড়ি পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি উপহার সাসগ্রী তুলে দেয়া হয়। এই ৮ হাফিজের মধ্যে চারজন কঠোর অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে পবিত্র কুরআনের রিভিশন সম্পন্ন করায় অতিরিক্ত সম্মাননায় ভুষিত হোন ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদ, সিনিয়র ইমাম সৈয়দ আনিসুল হক, ডেপুটি হেড টিচার উস্তাদ আনামুল খান।
অনুষ্ঠানে অষ্টম থেকে ১২তম ক্লাসের হাফিজরা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন অংশ থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে তাদের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থী পবিত্র কুরআন মুখস্থ করার যাত্রায় তাদের চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন ।
সিইও জুনাইদ আহমেদ বলেন, হুফফাজ গ্রাজুয়েশন এমন একটি অনুষ্ঠান যার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। ইস্ট লন্ডন মসজিদের ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে এটি অন্যতম । তিনি ৮ হাফিজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা অসাধারণ কিছু অর্জন করেছো, যা সকলের দ্বারা অর্জন করা সম্ভব হয়না । তিনি হাফিজদের মনে করিয়ে দেন ‘এটি কুরআনের সাথে তাঁদের যাত্রার একটি প্রথম পদক্ষেপ । হাফিজদের স্মরণশক্তিকে ভালো কাজের মধ্যে রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।”
ডেপুটি হেড টিচার উস্তাদ আনামুল খান শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পেছনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষক ও স্টাফদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা ছাড়া এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হতো না। প্রথম ক্লাস থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পর্যালোচনা এবং দিকনির্দেশনা গ্রহণের জন্য ঘন্টার পর ঘণ্টা সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকরা সহায়তার উৎস হয়ে আছেন । বিশেষ করে পিতা-মাতার ভূমিকা তুলনাহীন । সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা সন্তানের পাশে থেকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, এই তরুণ হাফিজরা পবিত্র কুরআন মুখস্থকরণের মাধ্যমে কুরআন সংরক্ষণের ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে চলেছে, যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিপুর্বে হাফিজ হওয়া অনেক ছাত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন । তাঁদের কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইসলামিক সোসইটিতে কিংবা স্থানীয় মসজিদে ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন । আজ যারা গ্রাজুয়েট হলেন তাদের সামনেও উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে ।